শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আজান শোনামাত্র তেলাওয়াত বন্ধ করে জবাব দেওয়া জরুরি কি?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

মুফতি যুবাইর মাহমুদ রাহমানি

ধরুন, আপনি কুরআনে পাক তেলাওয়াত করছেন; এমন সময় মুয়াজ্জিন সাহেব আজান দেওয়া আরম্ভ করলেন। এ সময় কি আপনার জন্য তেলাওয়াত বন্ধ করে মৌখিকভাবে আজানের জবাব দেওয়া জরুরি?

এর উত্তর হচ্ছে, না । এ সময় তেলাওয়াত বন্ধ করে মৌখিকভাবে আজানের জবাব দেওয়া জরুরি নয়।

এ প্রসঙ্গে দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক শাইখুল হাদিস ও সদরুল মুদাররিসীন আল্লামা মুফতি সাইদ আহমাদ পালনপুরি রহিমাহুল্লাহ লিখেন,
যদি কোন ব্যক্তি পূর্ব থেকে কোন দীনি কাজে মশগুল থাকে, তবে আজানের জবাব দেওয়ার জন্য উক্ত দীনি কাজ বন্ধ করা জরুরি নয়। যেমন কেউ তেলাওয়াত করছে অথবা সবক পাঠদান করা হচ্ছে; এমন সময় আজান শুরু হয়ে যায়। তখন আজানের জবাব দেওয়ার জন্য তেলাওয়াত এবং সবক মওকুফ করা জরুরি নয়।

কেননা, আজানের জবাব দেওয়া দীনি কাজ। অপরদিকে তেলাওয়াত ও সবকও দীনি কাজ। আর এক দীনি কাজের জন্য অন্য দীনি কাজ বন্ধ করা জরুরি নয়। এমনিভাবে ফজরের সুন্নাতও দীনি কাজ। এবং আজানের জবাব দেওয়াও দীনি কাজ। নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজানের জবাব না দিয়ে ফজরের সুন্নাত পড়ায় মশগুল থাকতেন। হাঁ, যদি দুনিয়াবি আলাপচারিতায় মগ্ন থেকে থাকে, তখন তা বন্ধ করে আজানের জবাব দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, আজান চলাকালীন অন্য কোন দীনি কাজ শুরু করা জায়েজ। কারণ, নবি করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজানের আরম্ভ হওয়ার পরই ফজরের সুন্নাত শুরু করতেন।

(তুহফাতুল আলমায়ি ২/৩১৬)

লেখক : মুহাদ্দিস, জামিআ হোসাইনিয়া মদিনাতুল উলুম (ভোলা) ও পরিচালক, রাহমানিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার (চরফ্যাশন,ভোলা)

হুআ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ