শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক মদিনায় তিন বছর ধরে আইসিইউতে থাকা এক বাংলাদেশি আলেমের করুণ কাহিনি আল্লামা আহমদ শফী রহ.: খণ্ড খণ্ড গল্প চামড়ায় দেওয়া লবণে রং মিশিয়ে তৈরি হতো বিট লবণ

বিকৃত নামে ডাকা: মজা নাকি মারাত্মক গুনাহ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন:

বর্তমানে একটি দুঃখজনক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে—মানুষ একে অপরকে বিকৃত নামে ডাকছে, বিশেষ করে যখন কারো মতাদর্শ বা চিন্তাধারা ভিন্ন হয়। কেউ ভিন্নভাবে চিন্তা করলেই তাকে বিদ্রূপ করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বা বিকৃত নামে অপমান করার প্রবণতা বাড়ছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের আচরণ কেমন?

এম মাআয।

উত্তর:

ইসলামের দৃষ্টিতে কাউকে বিকৃত নামে ডাকা একটি গুনাহের কাজ। এটি মজা বা দুষ্টুমির ছলেও বৈধ নয়। কারও ব্যক্তিত্ব ও সম্মানে আঘাত করে এমন কোনো আচরণ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন:

 یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّكُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّكُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَكُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۱۱﴾

"তোমরা একে অপরকে অপবাদসূচক নামে ডেকো না। ইমান আনার পর মন্দ নামে পরিচিত হওয়া গর্হিত কাজ।" সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১১

বিশিষ্ট তাফসিরবিদ ইমাম তাবারি (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,

“বিকৃত নামে ডাকা মুমিনের জন্য জঘন্য কাজ, তা সে মজা করেই করুক বা অপমানের উদ্দেশ্যেই করুক।”

(তাফসিরে তাবরি, খণ্ড: ২২, পৃষ্ঠা: ৩০২)

যদি কেউ পূর্বে এমন গুনাহ করে থাকে, তবে তার উচিত—ক্ষমা চাওয়া ও সংশোধন হওয়া। কেননা, এটি একজন মুসলিম ভাইয়ের সম্মানহানির শামিল।

ইসলামী শিক্ষার আলোকে সমাজে সম্মান ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য এই ধরনের ভাষা ও আচরণ থেকে দূরে থাকা ফরজ-সদৃশ দায়িত্ব।

আল্লাহ তাআলা আমাদের জবান ও আচরণ হেফাজতের তাওফিক দিন। আমিন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ