মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত এক নীরব বিপ্লবের নাম। নিম্নস্তর থেকে সমাজের উঁচু স্তর পর্যন্ত দ্বীনের আলোয় আলোকিত করার এক অনুপম মাধ্যম।
কত ডাকাত এ মেহনতের বদৌলতে তওবার রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। কত অমানুষ মনুষত্বের দীক্ষা পেয়েছে। কত পথভোলা পেয়েছে সঠিক পথের দিশা।
কত ডাক্তার, কত ইঞ্জিনিয়ার, কত উচ্চ শিক্ষিত মানুষের চেহারায়, জীবন যাপনে এনেছে সুন্নতি নববীর সুঘ্রাণ।
আজ (২১ সেপ্টেম্বর) আমার মেঝো ছেলেটার একটি ছোটখাটো অপারেশনের জন্য গিয়েছিলাম খিদমাহ হসপিটালে। ওটির সামনে অপেক্ষা করছিলাম।
ডা. মশিউর রহমান ছিলেন তখন ওটিতে। সংবাদ পেয়ে নিয়ে গেলেন ওটির ভিতরে। আপ্যায়ন করলেন। নিজেই বিল দিলেন। নিজেই ওষুধ কিনে দিলেন। তিন তলা থেকে নেমে নিচ পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলেন।
যেই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়া যায় না তিন চার মাস পরেও। সেই মানুষটার এ সুন্দর আখলাক কে শিক্ষা দিয়েছে? কার সাহচর্যে পেয়েছেন বাহ্যিক পোশাকধারী আলেম হলেও তাকে সম্মান করার এমন আদব? এটা পুরোটাই তাবলিগের অবদান।
ডা. মনীরুজ্জমান খিদমাহ হসপিটালের আরেকজন স্বনামধন্য ডাক্তার। তাবলিগের একনিষ্ঠ সাথী। তার মুখ থেকে শুনছিলাম মেডিকেলে পড়ার সময় তাবলিগের মেহনতের কথা। তন্ময় হয়ে শুনছিলাম ডাক্তার সাহেবের কথাগুলো।
যদি এ মেহনত না থাকতো, আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন এমন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের চেহারায় আমরা সুন্নতি লেবাস দেখতাম কি না?
দিল থেকে দোয়া এলো মাওলানা ইলিয়াস রহ.-এর জন্য। আল্লাহ তাআলা হযরতকে জান্নাতের আ'লা মাকাম দান করুন।
হকের পথে চলা তাবলিগের প্রতিটি সাথীকে রব্বে কারিম কবুল করুন। দ্বীনের এ মহান জামাতকে হকের ওপর অবিচল রাখুন। সকল প্রকার ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করুন। আমিন। ছুম্মা আমিন।
লেখক: পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
আরএইচ/