|| খতিব তাজুল ইসলাম ||
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে রবীন্দ্রনাথ মক্কা বিশ্ববিদ্যালয় বলে ব্যঙ্গ করে ডাকতেন। আমি কিন্তু মক্কা বিশ্ববিদ্যালয় বলতে বেশ খুশি হই।
যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছিল- প্রকাশ্যে নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ইফতার মাহফিল, নারীদের হিজাব, ইসলামি সংস্কৃতির যেকোনো প্রোগ্রাম।
আখড়া ছিল- সকল নাস্তিক মুনাফিক ও ইসলামবিদ্বেষী শক্তির। অপসংস্কৃতি ও ইসলাম এবং মুসলিমদের ব্যঙ্গ করে চলত নাচ গান ও শিল্পকলা এবং নাটক।
ইসলামি চিহ্নের প্রতি ছিল ভয়ংকর ঘৃণা, তাই তারা কবি নজরুল ইসলাম হলকে করেছে নজরুল হল। স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলকে করেছে সলিমুল্লাহ হল। পবিত্র কুরআনের আয়াত রাব্বি জিদনি ইলমা শব্দ লগো থেকে হটিয়ে দিয়েছে।
দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি ওয়ালা দেখলে শুরু হতো নির্যাতন। কিল ঘুষি হকিস্টিক দিয়ে পেটানো থেকে হত্যা খুন ছিল পান্তাভাত।
হিজাবি মেয়েদের ধরে নিয়ে বলত- যা গিয়ে বড় ভাইকে খুশি কর; নইলে খবর আছে। এভাবে মেয়েদের ইজ্জত লুটতো অহরহ।
বোরকা টেনে খুলে ফেলতো। সবাই অসহায়ের মত চেয়ে থাকতো।
এমনকি পূর্ণ মার্ক থাকা সত্ত্বেও আলিয়া মাদরাসা থেকে আসার কারণে কিংবা হিজাবি ধার্মিকের অপবাদ দিয়ে ভর্তি করা হতো না। কিংবা ভালো সাবজেক্ট দিতে চাইত না কর্তৃপক্ষ।
মানে ৯০% মুসলিম একটা দেশে, ১৮ কোটি ঈমানদারের দেশে ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি এমন ঘৃণ্য আচরণ বিশ্বাস করা যায়?
কে না জানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা ঘটা করে ধর্ষণ সেঞ্চুরি পালন করেছে। তার কোনো বিচার হয়েছিল?
ঢাবি, জাবি, রাবি, শাবি সবগুলোর পরিস্থিতি সমান ছিল। তবে তুলনামূলকভাবে ঢাবি এবং জাবির পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ।
এজন্য আমাদের উলামাগণ কিছু করেছেন? না, কিছুই করেননি। রোস্ট বিরিয়ানি খাওয়া আর এক দুটি সিটের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি এবং লুটেরাদের সহযোগী হওয়া ও তোষামোদী করা ব্যতীত আর কিছুই করা হয়নি।
যে বা যারা আজ ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে অভয়ারণ্য হিসেবে তৈরি করেছে তাদের সাধুবাদ না দিয়ে কি পারি ভাই!
লেখক: আলোচক ও সংগঠক
এসএকে/
                              
                          
                              
                          
                        
                              
                          