রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভালোদের তুলে না আনলে অযোগ্যরা ওয়াজের মাঠ দখল করবেই জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: আখতার হোসেন জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধানের বাইরে না যাওয়ার আহ্বান সালাহউদ্দিনের নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ : ফাওজুল কবির ইসলামিক রিসার্চ প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান জোটবদ্ধ হয়েও দলীয় প্রতীকে ভোটে আপত্তি বিএনপির, ইসিতে চিঠি দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল সফল করার আহ্বান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডে নিহতের পরিচয় মিলেছে আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশি-কানাডিয়ান বিজ্ঞানীর মৃত্যু কলাম্বিয়ার নদীতে ডুবে 

যতদিন জীবিত আছি মানুষের অধিকার আদায়ে নিয়োজিত থাকবো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান) বলেছেন, আসুক যত বিপদ, আসুক যত হুমকি, যাবো না এই দেশ থেকে। এই দেশের মানুষের অধিকার আদায় করে থাকবো এই দেশে ইনশাআল্লাহ। যতদিন জীবিত আছি এই মানুষের অধিকার আদায়ে নিয়োজিত থাকবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, গুম থেকে ফেরত আসার পরও আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম যে, আমি থাকবো না দেশে, চলে যাবো। দরকার নাই, যেখানে অধিকার নাই, যেখানে আইন নাই, যেখানে আদালত নাই, সেখানে সংবিধান নাই, থাকবো না সেই দেশে। কিন্তু যখন সুমনের মায়ের দিকে তাকাই, সুমনের মা যখন প্রশ্ন করে, ‘আমার বাবা কোথায়?’ তখন মনে করি, সৃষ্টিকর্তা আমাকে নিজ হাতে জীবিত রেখেছেন। আমার দায়িত্ব তাদের জন্য কথা বলা যারা জীবিত বের হতে পারেননি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হল অডিটোরিয়ামে নিজের রচিত ‘আয়নাঘরের সাক্ষী: গুম জীবনের আট বছর’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার আরমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও প্রচ্ছদ প্রকাশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রকাশনা উৎসবে এক মঞ্চে মিলিত হন গুমের শিকার ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা।

ব্যারিস্টার আরমান বলেন, আমাদের হতাশ চললে হবে না। আমাদের আস্থা রাখতে হবে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর। যখন পুলিশ বাহিনী উধাও হয়ে গিয়েছিল তখন বাচ্চা ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বেরিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই বাচ্চা ছেলেমেয়েরা আমাকে আবার স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছে। আমি আবার স্বপ্ন দেখি এমন বাংলাদেশের, যেখানে থাকবে না আঞ্চলিকতার বৈষম্য, যেখানে থাকবে না মতাদর্শ, ধর্ম নিয়ে বৈষম্য।

তিনি বলেন, আমরা শুধু চিনবো মানুষ, আমরা নাগরিক। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে ভাইবোনের মতো সবাই একসঙ্গে বসবাস করবো। পরবর্তী বংশধরদের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ ঐক্যের বাংলাদেশ রেখে যাবো ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আরও বক্তব্য দেন ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি ও গুমফেরত সাবেক বিগ্রেডিয়ার আব্দুল্লাহিল আমান আযমী।

এছাড়া জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের হেড অব মিশন হুমা খান, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, ব্যারিস্টার আরমানের মা খন্দকার আয়েশা খাতুন ও তার স্ত্রী ফারহানা ফাখরুবা তাহমিনা, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম খান ও প্রচ্ছদ প্রকাশনের চেয়ারম্যান রাজিফুল হাসান বাপ্পী, ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং শেখ মুজিবুর রহমান হল সংসদের ভিপি মুসলিমুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ