শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ।। ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৪ জিলহজ ১৪৪৬


আজকের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ৩০ মে ২০২৫

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যুগান্তর

 ছবির ক্যাপশান,যুগান্তর

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'নির্বাচনের তারিখই সংকট'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় সংকট হলো জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হওয়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিষয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে এবং দ্রুত সমাধান না হলে দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে রমজান, ঈদ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে, এরপর বর্ষাকাল আসবে—ফলে বাস্তবতা হলো, ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন করা উচিত। শীতকালই (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন আয়োজনের উপযুক্ত সময়।

বিএনপি চাইছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হোক। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিকবার এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তারিখ দ্রুত ঘোষণা না করলে রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়বে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তবে শুধু একটি দলই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু বিএনপি নয়, বেশিরভাগ দলই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চায়। সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

সবাই মনে করছেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান প্রয়োজন, না হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা আরও গভীর হবে।

সমকাল
ছবির ক্যাপশান,সমকাল

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত আড়াই মাস আগে ১২১টি সংস্কার প্রস্তাবকে 'আশু বাস্তবায়নযোগ্য' ঘোষণা করলেও এখনো সেগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।

এসব প্রস্তাব নির্বাচন, বিচার, পুলিশ, দুদক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ থেকে বাছাই করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এসব মতামত পেতে আরও কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। কারণ, অনেক প্রস্তাব আইনি ও প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কিত।

এদিকে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা চললেও মৌলিক বিষয়ে মতভেদ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেসব প্রস্তাব রাজনৈতিক মতামত ছাড়াই বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলোর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত থাকলেও বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যাচ্ছে।

এর মধ্যে কয়েকটি সংস্কার যেমন বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পুনর্গঠন কিছুটা অগ্রগতি পেয়েছে।

তবে বিশালসংখ্যক সংস্কার এখনো থমকে আছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচন প্রশ্নে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

কালের কণ্ঠ
ছবির ক্যাপশান,কালের কণ্ঠ

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, 'শতকোটির টিকার দরপত্রে কারসাজি'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১০০ কোটি টাকার খুরারোগের টিকা কেনায় অনিয়ম ও কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, প্রভাবশালী একজন ব্যক্তির তদবিরে 'ওএমসি কোম্পানি'-কে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রে শর্ত পরিবর্তন ও পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়।

প্রথম দফায় সর্বনিম্ন দরদাতা জেনটেককে বাদ দিয়ে তৃতীয় দফায় ওএমসিকে বেশি দামে কাজ দেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া মনগড়া ও পক্ষপাতদুষ্ট ছিল, যেখানে নমুনা পরীক্ষার নিয়মও ইচ্ছেমতো বদলানো হয়েছে।

ওএমসি যেই টিকা দিচ্ছে, তা আর্জেন্টিনার একটি কোম্পানি সরবরাহ করছে, যা এশিয়ার বাইরের স্ট্রেনভিত্তিক, ফলে কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

টিকা পরীক্ষায় গঠিত সাব-টেকনিক্যাল কমিটিতে অপ্রশিক্ষিত সদস্য রাখা হয় এবং প্রকল্প পরিচালকের ভূমিকা নিয়েও জোরালো অভিযোগ আছে।

এমনকি ওএমসি কোম্পানি সরকারি কর্মকর্তাদের আর্জেন্টিনা সফরের খরচও বহন করেছে, যা নিয়মবহির্ভূত।

পুরো প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট নথি সংগ্রহ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঞ্চলভিত্তিক ভাইরাসের সঙ্গে মিল না থাকলে বিদেশি টিকা কার্যকর নাও হতে পারে, ফলে গোটা প্রাণিসম্পদ খাত ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

নয়া দিগন্ত
ছবির ক্যাপশান,নয়া দিগন্ত

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, 'গভীর নিম্নচাপের উপকূল অতিক্রম'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে।

এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা দুই থেকে চার ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে, অনেক স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।

ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশালসহ বহু জেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

দেশজুড়ে প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীর নদীবন্দরগুলোতে ২ ও ৩ নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভোলার কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, ত্রাণ ও চিকিৎসা প্রস্তুতি নিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, অনেকে বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এই বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগ পরিস্থিতি শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

বণিক বার্তা
ছবির ক্যাপশান,বণিক বার্তা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।

অত্যাধুনিক এই টার্মিনালে লিফট, এস্কেলেটর, চেক-ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, লাগেজ বেল্টসহ সব আধুনিক সুবিধা রয়েছে।

ভবনটি প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত, শুধু ভিআইপি অংশে সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। কিন্তু অপারেটর নিয়োগ না হওয়ায় এটি চালু করতে পারছে না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

জাপানি একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তির আলোচনা চলছে, জুনে চুক্তি হলে পুরো কার্যক্রম শুরু হতে আরও ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে।

২০১৮ সালে দরপত্র আহ্বান করে ২০২০ সালে কাজ শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে সফট ওপেনিং হয়।

টার্মিনাল পরিচালনায় প্রাথমিকভাবে ছয় হাজার কর্মী প্রয়োজন হবে, যারা অপারেটরের অধীনে কাজ করবেন।

নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শেষে ট্রায়াল এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করতে সময় লাগবে। সরকার দ্রুত টার্মিনাল চালু করতে চায় এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অপারেটর নিয়োগ হলে পরবর্তী ধাপে যাবে অপারেশন রেডিনেস টেস্ট, তারপরই চালু হবে থার্ড টার্মিনাল।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

ছবির ক্যাপশান,দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, 'Bangladesh targets global trade alignment with sweeping tariff changes' অর্থাৎ, 'ব্যাপক শুল্ক পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্ববাণিজ্য মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বড় ধরনের শুল্ক সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রায় ৫০০ ধরনের পণ্যে উচ্চ হারে আরোপিত সম্পূরক ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক কমানো বা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এসব পণ্যের মধ্যে মাছ, পশু-জাত পণ্য ও কিছু কাঁচামাল রয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম মেনে ৪০টি পণ্যে নির্ধারিত মূল্য ও শুল্ক বাতিল করা হচ্ছে।

বিশেষ কিছু ওষুধ, যেমন ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কাঁচামালে আমদানি শুল্ক তুলে দেওয়ার প্রস্তাব আছে।

তবে কিছু শিল্প যেমন পানীয়, ফ্যান, এলইডি লাইট, প্রসাধনী, খেলনা ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যের কাঁচামালে শুল্ক দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।

একইসঙ্গে কিছু পণ্যের জন্য নির্ধারিত সর্বনিম্ন মূল্য দ্বিগুণ করা হতে পারে যাতে শুল্ক ফাঁকি রোধ হয়।

অন্যদিকে, মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পরিশোধিত চিনি, জ্বালানি তেল, মাইক্রোবাস, ক্রিকেট ব্যাটের কাঠসহ বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক কমানো হবে।

পরিবেশবান্ধব পণ্যের উপকরণেও শুল্ক হ্রাসের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সংস্কারের লক্ষ্য হলো স্থানীয় শিল্পের অতিরিক্ত সুরক্ষা কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা আনা।

প্রথম আলো
ছবির ক্যাপশান,প্রথম আলো

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম 'ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে একটি দল'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ কিংবা পরবর্তী বছরের জুনে হতে পারে। তবে বিএনপি ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়।

জাপানে অনুষ্ঠিত নিক্কেই ফোরামে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনূস জানান, সরকার তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, তা হলো- সংস্কার, অপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচন।

তিনি বলেন, যদি সংস্কার দ্রুত শেষ হয়, তবে ডিসেম্বরেই নির্বাচন সম্ভব, তবে ভালো সংস্কার চাইলে ছয় মাস সময় লাগবে।

তিনি দাবি করেন, শুধু একটি রাজনৈতিক দলই ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাচ্ছে। তার মতে, সরকার দেশের জনগণের স্বপ্ন, ন্যায়বিচার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে চায়।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই এবং তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন।

সেইসাথে বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে আস্থা হুমকির মুখে এবং শান্তি-সহযোগিতা কমে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেশী দেশগুলোর যুদ্ধে অর্থ ব্যয় নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি একটি সহানুভূতিশীল অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন, যা প্রতিযোগিতা নয়, কল্যাণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।

দ্য ডেইলি স্টার
ছবির ক্যাপশান,দ্য ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Reforms first priority, then trials, polls' অর্থাৎ, 'সংস্কার প্রথম অগ্রাধিকার, তারপর বিচার, ভোট'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি বিষয়ে কাজ করছে। প্রথমে সংস্কার, তারপর জুলাই মাসে সংঘটিত অপরাধের বিচার, এবং শেষে নির্বাচন।

টোকিওতে 'ফিউচার অব এশিয়া' ফোরামে তিনি বলেন, সরকার পুরানো ব্যবস্থায় ফিরতে চায় না, যেখানে বিচারব্যবস্থা এবং বাহিনীকে দমনমূলকভাবে ব্যবহার করা হতো। বরং তারা নতুন প্রতিষ্ঠান ও নীতি তৈরি করতে চায়।

তিনি জানান, নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ অথবা পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে হবে, যা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে সংস্কারের অগ্রগতির ওপর।

যদিও বিএনপি ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, ইউনূস বলেন, শুধু একটি দলই তাড়াহুড়া করছে; সবার মত এক নয়। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, তিনি কোনো রাজনীতিবিদ নন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।

তিনি বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল, তা ছিল একটি পরিবর্তনের সুযোগ এবং এটি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের পথ খুলে দিয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এশিয়া ও বিশ্বের নানা যুদ্ধ, সংঘাত, বৈষম্য ও জলবায়ু সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, এখন দরকার সহানুভূতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা নতুন অর্থনীতি, যেখানে মুনাফা নয়, মানুষের কল্যাণ হবে মূল লক্ষ্য।

নিউ এজ
ছবির ক্যাপশান,নিউ এজ

নিউ এজের প্রধান শিরোনাম, 'Khaleda hopes democracy to be restored soon' অর্থাৎ, 'খালেদা জিয়া আশা করেন, শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে খুব শিগগিরই গণতন্ত্র ফিরে আসবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শহীদ হয়েছেন। এখনো দেশে গণতন্ত্র অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছে।

খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মী ও জনগণকে সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে গিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের গণতন্ত্র, মুক্ত গণমাধ্যম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আত্মনির্ভরতা ও উন্নয়নের পথপ্রদর্শক ছিলেন।

১৯৭১ সালে চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এবং পরবর্তীতে সেখানেই জীবন উৎসর্গ করে তিনি জাতির মনে অমর হয়ে আছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা মেনে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুক।

তিনি জানান, চাইলে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব। তিনি আরও বলেন, সরকার গঠনের ১০ মাস পরেও নির্বাচনের দিন জানানো হয়নি, এতে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি অস্থির হয়ে পড়েছে।

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হলে গণতন্ত্রই বিজয়ী হবে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ