জামায়াত-এনসিপি নাখোশ— সমকালের প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়েছে এই খবরে।

বৈঠক সংক্রান্ত খবর আজ প্রথম পাতায় বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে ঢাকার সংবাদপত্রগুলো।

সমকালের এ খবরে বলা হয়েছে, কেবল বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করায় জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অসন্তুষ্ট।

যদিও জামায়াতে ইসলামী এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

তবে, দলটির একজন শীর্ষ নেতা সমকালকে বলেছেন, শুধু বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলগুলোকে রাজনৈতিকভাবে অবমূল্যায়ন ও ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। সর্বদলীয় আলোচনায় নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত ছিল।

এনসিপি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির বর্ধিতাংশে পরিণত হয়েছে। তারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এ অবস্থায় সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না— সংশয় রয়েছে।

চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

অন্যদিকে, বৈঠককে ইতিবাচক উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ এলডিপি, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম— সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে।

এই খবরে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে আগামী রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে রোজা শুরুর আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।

গতকাল শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকের পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, এ বৈঠকে নির্বাচনের তারিখসহ নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সব ধরনের বিষয় আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনী রোডম্যাপ বা ভোটের তারিখ ঘোষণার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন শিগগিরই তারিখ ঘোষণা করবেন বলেও তিনি এ সময় আশা প্রকাশ করেন।

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর— সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে ইরান-ইসরায়েল।

এতে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করে একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার খবরও সব সংবাদপত্র প্রথম পাতায় ছেপেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, তারা পাঁচ ধাপে ইরানের ৮ শহরে কয়েকশ বিমান হামলা চালিয়েছে।

এসব হামলায় ইরানের চার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং ছয়জন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

পাল্টা জবাবে তেল আবিব লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান।

ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দুই দেশের সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় দেশটিতে ৭৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় আরও ৩২৯ জন আহত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

এদিকে, ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে আসার তাগিদ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনই সময় নইলে পরের হামলাগুলো আরও ভয়াবহ হতে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

হামলার আগে ইরানে গোপন ড্রোন ঘাটি তৈরি করে মোসাদ— ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর এটি।

এতে বলা হয়েছে, ইরানে ইসরায়লের নিখুঁত হামলা চালানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও টাইমস অব ইসরায়লের বরাতে এই প্রতিবেদনে জানানো হচ্ছে, শুক্রবার তেল আবিবের হামলার আগে মোসাদের কমান্ডোরা ইরানের মধ্যে বেশ কয়েকটি গোপন অভিযান পরিচালনা করেছিল।

এসব অভিযানের মধ্যে আছে ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছাকাছি খোলা জায়গায় নিখুঁত নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র মোতায়েন, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি এবং তেহরানের কাছে একটি অ্যাটাক-ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন।

ইসরায়লের সামরিক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ হামলায় জড়িত তার দেশের সব পাইলট নিরাপদে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের এই হামলার লক্ষ্য ইরানের সামরিক কমান্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা। গত কয়েক বছর ধরেই এই হামলার পরিকল্পনা চলছিল।

ভিসা জটিলতায় কঠিন হচ্ছে বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্ৰমণ— আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি।

এতে বলা হয়েছে, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসাপ্রাপ্তি কঠিন করে তুলেছে।

আগে যেখানে ই-ভিসা কিংবা অন-অ্যারাইভাল সুবিধায় সহজেই ভ্রমণ করা যেত, এখন সেখানে ভিসা পেতে সময় লাগছে এক থেকে দুই মাস।

এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাতও হচ্ছে।

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশও বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা দেওয়া বন্ধ বা সীমিত করেছে।

ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশে অবকাশযাপন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশীয় ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি, এমনকি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর।

ঋণ ১৯ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে— যুগান্তরের প্রথম পাতার সংবাদ এটি। এতে বলা হয়েছে, গত মার্চ পর্যন্ত সরকারের ঋণের দায় ১৯ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ছুঁইয়েছে। যার মধ্যে দেশি ঋণ ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা, তার মধ্যে ব্যাংকের ঋণ ছয় লাখ ৮২ হাজার ১৬১ কোটি টাকা।

এছাড়া, বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ আট লাখ ২৬ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছর শেষে অর্থাৎ জুন পর্যন্ত তা সাড়ে ১৯ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে বলে অর্থ বিভাগের ধারণা।

সরকারের এ ঋণনির্ভরতা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট ঋণের স্থিতি প্রায় ২২ লাখ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে, এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে।

ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিজেও অনেকটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর— ডেঙ্গু-করোনায় একদিনে ৭ প্রাণহানি। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ঘরে ঘরে এখন জ্বর ও সর্দি রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

মূলত, নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একই সঙ্গে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপও চলতি মাসে দ্রুত বেড়েছে। মৃত্যুও হচ্ছে উভয় রোগে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর গতকাল জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনায়ও একদিনে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তা-ও এ বছরের মধ্যে সর্বাধিক।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট পাঁচ হাজার ৫৭০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৮ জন।

এছাড়া, চলতি বছরে এর আগে গত পাঁচই জুন কোভিড-১৯-এ একজনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

India pushes 44 more people into Bangladesh, অর্থাৎ বাংলাদেশে আরও ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারত— ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রথম পাতার খবর এটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ৪৪ জনকে ভারত থেকে পুশ ইন (ঠেলে পাঠানো) করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও পুলিশ।

বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর পর্যন্ত তাদেরকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়।

এই ৪৪ জনের মধ্যে ১৩ জন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা ইউএনএইচসিআর কর্তৃক ভারতে নিবন্ধিত। মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে ঠেলে পাঠানো হয়।

তাতে গত ৭ মে থেকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা ব্যক্তির সংখ্যা এক হাজার ৪৫৭ জনে দাঁড়ালো।

সরকারি জমিতে সস্তায় ফ্ল্যাট নেন সচিবেরা— প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর এটি। এ খবরে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্বে (পিপিপি) বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তাদের জন্য 'পুনর্বাসন ভিলেজ' নির্মাণের লক্ষ্যে উত্তরা মডেল টাউনের (তৃতীয় ধাপ) বড়কাঁকর, বাউনিয়া ও দ্বিগুণ মৌজায় ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় আরেকটি প্রকল্পের আওতায়।

ওই জমিতে ১২টি ভবনে ১ হাজার ৩৪৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য কেনা ৪০ একর জমি থেকে ১ দশমিক ১৫ একর জমি নিয়ে চারটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি ভবন সচিব ও বড় আমলাদের জন্য।

মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের নামে খুবই কম দামে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন সচিবেরা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষে (বাসেক) ঘটনাটি ঘটেছে।

বিভিন্ন সময় সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদে থাকা সচিবেরা যেমন ফ্ল্যাট নিয়েছেন, তেমনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী আমলাদেরও দেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ফ্ল্যাট পাওয়া সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার সংখ্যা ৩২।