বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জামায়াতের ৯৩ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা  অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই শুরু তিস্তা প্রকল্পের কাজ: আসিফ মাহমুদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সুদানের গৃহযুদ্ধ: জাতিসংঘ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ নিউইয়র্কে ১০ লাখ মুসলিম মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবেন: মেয়র মামদানি টাইফুন কালমেগির আঘাত ফিলিপাইনে, নিহত ৬৬ ১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে জনসমুদ্রে পরিণত করার আহ্বান  ত্রাণ প্রবেশে বাধা, যুদ্ধবিরতিতেও ক্ষুধার্ত গাজা আফগানিস্তান প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় আপেল রপ্তানি শুরু করেছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

usa_votingআওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রতি চার বছর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীকে অবশ্যই তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। এক. প্রার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে। দুই. তাকে অন্তত ৩৫ বছর বয়সী হতে হবে। তিন. অন্তত ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাস করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে দীর্ঘ এক মাসব্যাপী ভোটের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত হন। এ জন্য আইওয়া রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সমিতিতে নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা হয়। সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়।

পরবর্তী ধাপে মূল নির্বাচনে ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া (ওয়াশিংটন নগরী) কোনো অঙ্গরাজ্যের অংশ নয়।

ভোটাররা তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও একজনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। একজন ভোটার নিজের পছন্দের প্রেসিডেন্টের জন্য ভোট দেয়ার সময় একই সঙ্গে ইলেক্টোরাল প্রতিনিধির জন্যও ভোট দেন।

মূলত ভোটাররা ইলেক্টরাল নির্বাচনের জন্য ভোট দেন। কারণ কাগজে-কলমে এ ইলেক্টোরদের ভোটেই নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট।

প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের পপুলার ভোটের মাধ্যমেই ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের নির্ধারণ করা হয়। এরা মনোনীত একজন প্রার্থীকে সমর্থনের অঙ্গীকার করেন।

ইলেক্টোরাল কলেজ
ইলেক্টোরাল কলেজের ৫৩৮ সদস্য রয়েছে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে কোন রাজ্য থেকে কতজন সদস্য হবেন তা নির্ধারিত হয়।

বেশিরভাগ রাজ্যেই প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারদের যতো বেশী ভোটই পান না কেনো তাতে কোনো লাভ হয় না। ধরা যাক ক্যালিফোর্নিয়ায় ৯৯ শতাংশ ভোটার হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিয়েছেন, তিনি ওই রাজ্যের পুরো ৫৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাবেন। যদি তিনি ওই রাজ্যের ৫১ শতাংশ ভোটও পান, তবুও তিনি ৫৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাবেন।

ইলেক্টোরাল কলেজের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করা হয়ে থাকে দলীয় ভিত্তিতে। ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে যিনি ন্যূনতম ২৭০টি পাবেন, তিনিই বেসরকারিভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তার রানিং মেট আপনা আপনিই নির্বাচিত হয়েছেন বলে বিবেচিত হবেন।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে একটি রাজ্যের প্রতি সদস্য এবং প্রতিটি রাজ্যের দু'জন সিনেটরের জন্য একজন ইলেক্টর রয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য হওয়ায় এখানে ৫৫ জন ইলেক্টর রয়েছে। অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যে টেক্সাসে ৩৮ জন ইলেক্টর এবং নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় ২৯ জন করে ইলেক্টর রয়েছে।

অন্যদিকে কম জনসংখ্যা অধ্যুষিত আলাস্কা, ডিলাওয়্যার, ভারমন্ট ও ওইয়োমিংয়ে মাত্র তিনজন করে ইলেক্টর রয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় তিনজন ইলেক্টর রয়েছে।

ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যরাই ১৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। সফল প্রার্থীকে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে অবশ্যই ২৭০টি ভোট পেতে হবে।

কোনো কোনো রাজ্য ঐতিহাসিকভাবে প্রতি নির্বাচনেই ডেমোক্রেট দলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অন্য রাজ্যগুলো রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে।

তবে বেশ কয়েকটি রাজ্যের ভোটাররা নির্দিষ্ট কোনো দলকেই সমর্থন দেয় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যগুলোতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইলেক্টর রয়েছে। এই রাজ্যগুলোকেই নির্বাচনের 'ব্যাটলগ্রাউন্ড বা যুদ্ধক্ষেত্র' হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এই অঙ্গরাজ্যগুলো এবং এর ইলেক্টরদের সংখ্যা হচ্ছে- ফ্লোরিডা (২৯), পেনসিলভেনিয়া (২০) এবং ওহাইয়ো (১৮)টি।

এই রাজ্যগুলোর মধ্যে ওহাইও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৪ সাল থেকে এই রাজ্যের ভোটেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্ধারিত হয়ে আসছে। ফলে ওহাইও রাজ্যের প্রতি জোর সকল দলের প্রার্থীদের।

আর ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে মার্কিন নাগরিকরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ৪৩৫ জন সদস্যকে নির্বাচিত করার জন্য ভোট দিবেন। এরা দুই বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও ভোটাররা ১০০ সিনেটরের মধ্যে ৩৪ জনকে নির্বাচিত করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরা ছয় বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা এ দিন ১২টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নরও নির্বাচিত করবেন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ