শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ধর্ষণের দায়ে সাত এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১০ জন কারাগারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের দায়ে কুড়িগ্রামে পর্নোগ্রাফি আইনে সাত এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ গ্রেফতার হওয়া ১০ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমানের আদালত তা নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে গোপনে তা ভিডিও করার পর মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হলে ১০ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রধান আসামি রাশেদুল ইসলামসহ ৭ জন এইচএসসি পরিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, রাশেদুল নাগেশ্বরী উপজেলার হোসেন আলীর ছেলে। সে সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ওই কিশোরীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে রাশেদুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে তার এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। ওই দৃশ্য আবার গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাশেদুলের বন্ধুরা। পরে তা মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং রাশেদুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাশেদুল ভিডিও চিত্রটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। পরে বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে জানায়। রবিবার (৩ এপ্রিল) ওই কিশোরীর মামা সদর থানায় রাশেদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম জানান, রাশেদুলকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ৩৭ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, প্রধান আসামি রাশেদুলকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে এবং বাকিদের শুধু পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এসএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ