শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন ইসলামী ব্যাংকের ডিমিনিশিং মুশারাকার মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করা বৈধ হবে কি? শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের

মৃত রোগী! হেঁটে গেলেন বাড়িতে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেশ কয়েক দিন ধরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার বাসিন্দা জয়নারায়ণ পান্ডে।

শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে রেখেই বাড়িতে গিয়েছিলেন স্বজনরা। বুধবার সকালে হঠাৎ হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। বলা হয় জয়নারায়ণ পান্ডে মারা গেছে।

মৃত্যুসংবাদ পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা। মৃতদেহ হস্তান্তরের আগে হাসপাতাল থেকে মৃত্যুসনদও দেওয়া হয়।

ফুল-মালা আর শববাহী গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু হঠাৎ হাসপাতালের করিডোরে তাকিয়ে সবার চোখ কপালে। সেখানে দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছেন ওই ষাটোর্ধ্ব জয়নারায়ণ।

[কী লিখেছে হিন্দু মাদরাসা ছাত্রী যা নিয়ে ভারতে তোলপাড়]

মুহূর্তে সবার মাঝে খুশির রেশ ছড়িয়ে পড়লেও পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন ভুলে সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।সে সময় হাসপাতাল থেকে দেয়া মৃত্যুসনদ ছিঁড়ে ফেলে দেন হাসপাতাল কর্মীরা।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিনিউজকে জানায়, হাঁপানি এবং যক্ষ্মা রোগ নিয়ে জয়নারায়ণ গত ১৬ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ৭২ নম্বর বিছানা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সুস্থ হলে গত মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জয়নারায়ণ পান্ডে  হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি যাননি। হাসপাতালের বারান্দায় থাকা আরেক সংকটাপন্ন রোগীকে তিনি তাঁর বিছানা ছেড়ে দেন। তবে এ কথা জানত না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার ভোরবেলা বারান্দার ওই রোগী ৭২ নম্বর বেডে মারা যান। আর ওই ৭২ নম্বরে যেহেতু জয়নারায়ণ ছিলেন, তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর বাড়িতে মৃত্যুসংবাদ পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে ‘মৃত’ জয়নারায়ণের জন্য যে ফুল এনেছিল স্বজনরা, তা পরিয়েই তাঁরা জীবিত জয়নারায়ণকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন। আর এ ঘটনায় তাঁরা থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ