শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন ইসলামী ব্যাংকের ডিমিনিশিং মুশারাকার মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করা বৈধ হবে কি? শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের রপ্তানি সত্ত্বেও ভারতে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের মানুষ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না: পীর সাহেব চরমোনাই বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের কড়া সমালোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে এক আলোচনায় সদস্য দেশগুলোর সবাই মিয়ানমারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন।গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এই উন্মুক্ত আলোচনায় নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসাও করা হয়।

সাড়ে তিন ঘণ্টার এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, বলিভিয়াসহ ১২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত শেখ সাবাহ খালিদ আল হামাদ।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যোগ দিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে সৃষ্ট এ সঙ্কটের সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে।

গত ৬ মাসে ৬ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশ আশ্রয় পাওয়ার তথ্য জানিয়ে গ্রান্দি বলেন, শরণার্থীদের নিরাপদে নিজ আবাস ভূমিতে প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আন্তরিক অর্থে সোচ্চার হওয়া দরকার।

এই দফায় আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি। রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আগে তাদের ফেরানোর ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্ল্যাভ জেনকা বলেন, রাখাইন প্রদেশে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে, সেখানে জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ অন্যদের প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে মিয়ানমার সরকারকে।

মিরোস্ল্যাভ বলেন, ইতোমধ্যেই ঘটে যাওয়া নৃশংসতার অনেক ঘটনাই ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও যারা পৈত্রিক ভিটেমাটি আঁকড়ে রাখার চেষ্টায় রয়েছেন, সেই রোহিঙ্গারা কী ধরনের হুমকি-ধমকি সহ্য করছেন, সেটিও খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ