বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

হিন্দুদের সম্মানার্থে সাতক্ষীরার রেস্তোরাঁয় ‘গো-মাংস’ নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাতক্ষীরার বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় গেলে দেখা যাবে ‘নো বিফ’ সম্বলিত নোটিশ বোর্ড। বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যেখানে গো-মাংস খাওয়া-দাওয়ার তালিকায় প্রথম পছন্দ। সেখানে রেস্তোরাঁগুলিতে ‘নো বিফ’ সম্বলিত নোটিশ বোর্ড একটু আশ্চর্যজনকই বটে। খবর টিডিএন-এর।

সোনারগাঁ রেস্তোরাঁর মালিক আবুল কাশেমের কথায়, সাতক্ষীরায় বহুসংখ্যক হিন্দু পরিবার বসবাস করেন এবং তাঁর রেস্তোরাঁতেও অনেক হিন্দু প্রত্যহ খেতে আসেন। তারা গো-মাংস খাননা। জানা গিয়েছে, সাতক্ষীরা ছাড়াও বাংলাদেশের বহু জায়গার রেস্তোরাঁয় গো-মাংস পাওয়া যায়না।

প্রবীণ সাংবাদিক এটিএন বাংলা নেটওয়ার্ক-এর নিউজ এডিটর মানষ ঘোষ বলেন, ‘গো-মাংসকে এখানকার সংস্কৃতির নজরে দেখা উচিত হবে না। দেশভাগের আগে এখানে প্রচুর পরিমাণে হিন্দুরা বসবাস করতেন। আজও প্রায় ৮-৯% হিন্দুরা এখানে বাস করছে। এইজন্যই দেশের বিভিন্ন এলাকায় গো-মাংস খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

মানষ বাবু আরও বলেন, বিষয়টি সংস্কৃতির পাশাপাশি ব্যবসা ও রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। এই হোটেলগুলিতে আগত বহু গ্রাহক হিন্দু। তাই হোটেল মালিকগুলি তাদের মন জয় করতে গো-মাংস না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে যে দল ক্ষমতায় আসে সংখ্যালঘুদের সন্তুষ্ট করার জন্য বিফের রাজনীতি করেন। তবে, সেই রাজনীতি ভারতের মতো এতটাও গুরুত্ববহ না।

সাতক্ষীরা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অপর একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা থেকে বিফের জন্য গরু পাচার করা হয়। ভারতে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বাড়ার পরও তা চলছে রমরমিয়ে। কিন্তু যে সমস্ত রেস্তোরাঁগুলিতে বিফ নিষিদ্ধ সেখানে মাটন, চিকেন, ফিশ কারী গো-মাংসের চেয়েও বেশি বিক্রি হয়।

সূত্র : টিডিএন বাংলা


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ