রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে

খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।

বুধবার পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে এসেছেন বিএনপি নেতারা। ২৮ দিন ধরে কারাগারে তিনি। বিকেল তিনটার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন তারা।

অনুমতি সাপেক্ষে আজ দলটির ১০ নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

তবে আজ বুধবার বিকেল তিনটায় কারাফটকের সামনে তিনি জানান, বিএনপির সাত নেতা ইতিমধ্যে কারাগারে এসে পৌঁছেছেন। জ্যেষ্ঠ নেতা মাহবুবুর রহমান ও নজরুল ইসলাম খান কারাগারে প্রবেশ করবেন না বলেও জানান দিদার।

দলীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

রায় ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে সরাতেই মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সরকার আগামী নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। কারণ খালেদা জিয়া নির্বাচনের মাঠে থাকলে জনগণ তার সঙ্গে মাঠে নেমে আসবে। আর বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের একদলীয় শাসনের পথ রুদ্ধ হবে।

বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের কেন কিছু করার থাকবে? কারণ, ইসি তো সরকারের মাইক্রোফোন হিসেবে কাজ করছে। তারা চাকরি হারানোর ভয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কিছুই বলছেন না। কারণ, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তাদের পরিণতি হবে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার মতো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ