শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

ধর্ষণের বিচার চেয়ে মোদিকে চমস্কিসহ ৬০০ শিক্ষাবিদের চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতে বর্তমান মোদি সরকারের সময়কালে ধর্ষণের ঘটনা অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বিশ্বব্যাপী বু্দ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদগণ। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নারীদের টার্গেট করে বেড়ে যাওয়া এ যৌন নিপীড়নের রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন তারা।

খ্যাতনামা মার্কিন ভাষাতাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিশ্লেষক নোম চমস্কি, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নৃবিজ্ঞানী লিলা আবু লুঘোদ এবং আসামে জন্ম নেওয়া মার্কিন ইতিহাসবিদ প্রসেনজিত দুয়ারার মতো বুদ্ধিজীবীরাও এবার মুখ খুলেছেন এ নিপীড়ন বিষয়ে মোদি সরকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায়।

কাশ্মিরের কাঠুয়া ও উন্নাওতে তৈরি হওয়া ভয়াবহ সাম্প্রদায়িকতাসুলভ যৌন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কলম তুলেছেন ভারতসহ পুরো বিশ্বের ৬৩৭ জন বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদ। তাদের মধ্যে ২০০ জন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি চিঠির অনুলিপিতে লেখা আছে, ‘আমরা ভারতের এবং বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ ও স্বাধীনধারার গবেষক। গত ১৬ এপ্রিল ৪৯ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী আপনাকে যে খোলা চিঠি দিয়েছিল তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবং তাদের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরাও আপনাকে লিখছি।’

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সাউথ ব্লকের ঠিকানায় ২১ এপ্রিল তারিখে ওই চিঠিটি লেখা হয়েছে। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ করে চিঠিটি লেখা হয়েছে।

শিক্ষাবিদেরা ওই চিঠিতে লিখেছেন, এসব সরকারি চাকরিজীবী এবং অগণিত ভারতীয় নাগরিক এবং ব্যাপক অর্থে বলতে গেলে বিশ্বের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আমরা কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের গভীর ক্ষোভ ও বেদনা প্রকাশ করছি।

তারা অভিযোগ তুলেছেন, দুটি জঘন্য ঘটনার ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা, পরবর্তীতে যুক্তি প্রয়োগ, বিচ্যুতি ও ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য গভীর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে; যার প্রমাণ মিডিয়ায় আপনার মুখপাত্রের দেওয়া প্রতিক্রিয়া থেকেই পাওয়া যায়।

‘সর্বশেষ আপনি দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা অপর্যাপ্ত, ছকবদ্ধ এবং এতে ঘটনার শিকার হওয়াদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের সুস্পষ্ট নিশ্চয়তা নেই।’ বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।

এসএস


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ