বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘তাহলে দেনমোহর ও ভরণ-পোষনের বাধ্যবাধকতাও তুলে দেওয়া হোক’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সম্প্রতি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে সুপারিশ পেশ করেছে তা নিয়ে ব্যাপক আপত্তি জানাচ্ছেন ইসলামপন্থীরা। এর অনেক ধারাকে ইসলামবিরোধী আখ্যায়িত করে তারা শুধু এই সুপারিশ নয়, পুরো কমিশনই বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন।

শুধু ইসলামপন্থীরাই নয়, এর বাইরেও বিভিন্নজন এই সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সমালোচনা করছেন। বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও অ্যাকটিভিস্ট আব্দুন নুর তুষারও এই সুপারিশের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,

ইসলাম বা পশ্চিমা যেকোনো একটা গ্রহণ করতে হবে। দুটির সংমিশ্রণ করা যাবে না। আর উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেনমোহর এবং ভরণ-পোষনের যে দায়িত্ব পুরুষের ওপর রয়েছে, সেটাও রহিত করতে হবে।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে আব্দুন নুর তুষারের দেওয়া পোস্টটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সম্পদ উত্তরাধিকার এসবে নারী বিষয়ক যেসব সংস্কার সব সম্পন্ন হয়ে গেলে কোনো অসুবিধা নাই। সব সমান সমান হোক। আমি চাই সম্পদের ভাগ সমান হোক। তবে এর সাথে সাথে দেনমোহরের প্রয়োজনীয়তাও তো ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। আর ভরণ পোষনের বাধ্যবাধকতাটাও। কেন বাধ্যগতভাবে পালতে হবে স্ত্রীকে? এই দুটোও বাতিল করে দিন। আধা পশ্চিমা আধা আরবী ভাবসাব কেন? হয় সব বাতিল করেন ও করে সংসারের অর্ধেক ভার বহন করেন আর নয় পুরুষকেই বাদ দেন লাইফ থেকে। ঘরজামাই শব্দটিকে ঘৃণিত অপমানজনক শব্দ না ভেবে তাকেও সম্মান দেন।

আরেকটা কথা - অনিচ্ছুক পুরুষকে অপমানজনক শব্দ ও নানারকম কটুকাটব্য করে উপগত হতে প্ররোচিত করাকেও বৈবাহিক ধর্ষণ হিসেবে গন্য করেন। পুরুষের না বলাকে সম্মান করেন। নারীকে ঘরকন্না করার ও পুরুষকে এককভাবে সংসারের আর্থিক ভারবহন করা থেকে মুক্তি দিন। অথবা পুরুষকেও দেনমোহর নিতে দিন। প্রিন্স থামুনদের মতো ছেলেরা দেনমোহর নিয়ে তখন সুখে থাকতো। ঘনঘন চুল রং করাতো। বোটক্স ফিলার করতো। শরীরের নানা স্থানে অগমেন্টেশন করে ছবি দিতো।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ