রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

‘মাদক’ সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের কথা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম:  ইসলাম কখনো সমর্থন করে না নেশা করাকে । ইসলামের প্রাথমিক যুগে নেশা করা হারাম ছিল না। তবে তা ক্রমান্বয়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

প্রথমত মদকে একটি নেয়ামত ও আকর্ষণীয় পানীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘আর খেজুর ও আঙুর গাছের ফল থেকে তোমরা গ্রহণ কর মাদক এবং ভাল খাদ্য। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্য মহান উপদেশ রয়েছে’ -(সুরা আন নহল: ৬৭)।

পরবর্তীতে বিভিন্ন ধারাবাহিকতায় মদ বা নেশাকে হারাম করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন, ‘তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। হে নবী! আপনি বলে দিন, এতদুভয়ের মাঝে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্য উপকারিতাও রয়েছে।

তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়’ -(সুরা আল বাক্বারা: ২১৯)। এর পরবর্তীতে অবতীর্ণ হয় ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মাতাল অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না। যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে সক্ষম হও যা তোমরা বলছ’-(সুরা আন নিসা: ৪৩)।

পরিশেষে মদ হারামের অমোঘ ঘোষণা নিয়ে নাজিল হয় ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, স্থাপনকৃত মূর্তি ও ভাগ্য নির্ধারক তীর অপবিত্র ও শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা ইহা হতে দূরে থাক। যেন তোমরা সফলকাম হতে পার’ -(সুরা আল মায়িদা: ৯০)। এভাবেই মহান রাব্বুল আলামিন মদ বা নেশা জাতীয় জিনিসগুলোকে হারাম ঘোষণা করেন।

হাদিস শরিফে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী, ‘তুমি মদ্যপান করবে না। কেননা, ইহা সব মন্দের চাবিকাঠি’ -(ইবনে মাজাহ)। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, ‘হজরত মু’আজ ইবনে জাবাল (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দশটি বিষয়ে উপদেশ দান করেছেন, (তন্মধ্যে একটি হলো) কখনো শরাব তথা মদ পান করবে না।

কেননা, তা সকল প্রকার অশ্লীল কর্মের উৎস’ -(আহমদ)। প্রত্যেক নেশা আনয়নকারী বস্তু মদের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘হজরত ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, প্রত্যেক নেশা আনয়নকারী বস্তু মদের শামিল এবং প্রত্যেক নেশা আনয়নকারী বস্তু হারাম।

যে ব্যক্তি দুনিয়ায় মদ পান করবে, অতঃপর তওবা না করে মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে মৃত্যুবরণ করবে, সে পরকালে (জান্নাতের) মদ পান করতে পারবে না’ -(মুসলিম)। মদ হচ্ছে সকল গুনাহের মূল।

শুধু মদ্যপানকারী নয়, মদ প্রস্তুতকারী, বহনকারী, বিক্রিকারীসহ অনেকের উপর অভিসম্পাত করা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্যানুযায়ী ‘হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত।

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদের ক্ষেত্রে দশ ব্যক্তিকে অভিসম্পাত করেছেন। এক. মদ প্রস্তুতকারী, দুই. যার নিমিত্তে মদ তৈরি করা হয়, তিন. মদ পানকারী, চার. মদ বহনকারী, পাঁচ. যার নিকট মদ বহন করে নেওয়া হয়, ছয়. মদ পরিবেশনকারী, সাত. মদ বিক্রেতা, আট. মদের মূল্য ভোগকারী ব্যক্তি, নয়. মদ তৈরি করার আসবাব ক্রয়কারী ব্যক্তি, দশ. মদের নিমিত্তে যা ক্রয় করা হয়’ -(তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)।

এ থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, মদ্যপান বা নেশা করা ব্যক্তি বা দল, সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য অমঙ্গল, অকল্যাণকর।

আরো পড়ুন- রোজার ফজিলত ও জরুরি মাসাইল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ