রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

ঢাকার আদলে মসজিদের শহরে পরিণত হচ্ছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আদলে মসজিদের শহরে পরিণত হচ্ছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো। যেখানকার খ্রিষ্টান সমপ্রদায়ের অধিকাংশ গীর্জাই এখন মসজিদ। প্রতিদিনই এ সব মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বেড়েই চলছে মুসল্লির সমাগম।

প্রতিটি মুসলিম পরিবারই তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে মসজিদে নামাজ আদায়ে সামিল হচ্ছেন। এছাড়া শুক্রবারে পরিবারের অধিকাংশ নারীরা পরিবারের কর্তার সঙ্গে পুত্র-কন্যাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে এসব মসজিদে।

প্রায় পঞ্চাশ হাজার অধিবাসী সম্বলিত বাফেলোর মেয়র এবং সিটির পুলিশ কমিশনার নিউজিল্যান্ড ঘটনার পর থেকে শুক্রবারে প্রত্যেকটা মসজিদে রেগুলার পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারীও বৃদ্ধি করেছে। যাতে মুসল্লিদের উপর অনা কাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা না ঘটে।

জানা গেছে, ২ হাজার ৫২৫ বর্গ কিলোমিটারের এ শহরটিতে রয়েছে বর্তমানে ১৭টি জামে মসজিদ, ৪টি ইবাদত খানাসহ বৃহৎ পরিসরে ৪টি উচ্চ শিক্ষার মাদরাসা। এ ছাড়াও কোরআনে হাফেজ তৈরির লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি হেফজ খানা।

কিন্তু চমকপ্রদ খবরটি হচ্ছে- তৎকালীন বাফেলোর পুরো জেল খানাটিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ব বৃহৎ আবাসিক/ অনাবাসিক মহিলা মাদরাসায় পরিণত হয়েছে। যেখানে ইসলামি শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশটির শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত পুস্তকও পড়ানো হয়। মাদরাসাটির অধিকাংশ শিক্ষক ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

এদিকে, পুরো বাফেলো জুড়েই বসবাস করছে এশিয়ার অধিকাংশ মুসলিম দেশের মানুষ। তাদের মধ্যে ইয়েমেন, বাংলাদেশ, বার্মা ও পাকিস্তানের মুসলিমদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও ভারতের মুসলিম জনসংখ্যাও রয়েছে।

শহরটিতে বর্তমানে যে সব মসজিদ রয়েছে তার অধিকাংশই পূর্ববর্তীতে গীজা ছিল। এ সব গীর্জা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় এবং দেখ ভালের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে বছরের পর বছর। যাতে ক্ষতির মুখে পতিত হচ্ছিল ভবনগুলো। পাশাপাশি বাফেলো সিটি হারাচ্ছিল মোটা অংকের রাজস্ব।

অন্যদিকে, বাফেলোতে মুসলিম জনগোষ্টীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া এবং তাদের চাহিদা থাকায় সিটি কর্তৃপক্ষ নামেমাত্র থাকা এ সব গীর্জা লিজ প্রদান করে মসজিদের জন্য।

সম্প্রতি দেলেবান ও বেলী রোড়ের কর্ণারে সববৃহৎ গীর্জাটি যখন মসজিদের জন্য সিটির কাছ থেকে লিজ নেয়া হলো, তখন বিভিন্ন মিডিয়া বিশেষ করে (ফ্রক নিউজ, এবিসি নিউজ) খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকদের একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে তা প্রকাশ করে।

যাতে তাদের অধিকাংশের মতামত ছিল এরকম যে, 'আমরা আগে রোববারে প্রে করতাম, সেখানে মুসলিম ফ্রেন্ডরা শুক্রবারে প্রে করবে, পার্থক্য শুধু এটাই। আমরা গড'কে ডাকতাম আর ওরা আল্লাহকে ডাকবে। এতে সমস্যা কোথায়?

শহরটির যে সব গীর্জা এখন মসজিদে পরিণত হয়েছে তারমধ্যে মসজিদ-এ-জাকারিয়া, মসজিদ আল তাকওয়া, মসজিদে জুমা, মসজিদে নো'মান, মার্কাস মসজিদ, মসজিদ আল ইয়ামা, মসজিদ জামা, মসজিদ আল নূর, মসজিদ আল গুদাম, মসজিদ এট জ্যাফরীয়া, বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, মসজিদ বিলাল, মসজিদ দারুস সালাম, মসজিদ-ই-মাহদি, মসজিদ তাওহীদ, মসজিদ মুকাররাম জামে মসজিদ, সেন্ট্রাল পার্ক জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ