রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক 

আকাবিরের রমজান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: হযরত রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ.। তাঁর রমজান বা সিয়াম সাধনা ছিল চোখ কপালে উঠার মতো। বয়স সত্তরের কোঠা পেরিয়ে গেছে, তবু তিনি ইবাদাত এতো বেশি পরিমাণে করতেন, রীতিমতো একজন সামর্থবান মানুষও এতোটা কষ্ট সাধনা করার কথা কল্পনাও করতে পারবে না।

দিনভর রোজা রাখতেন এবং মাগরিবের পর ছয় রাকাতের পরিবর্তে বিশ রাকাত আওয়াবিন পড়তেন। আর এই নামাজের রুকু সিজদা এতো লম্বা হতো যে, অচেনা কেউ দেখলে ভাববে মনে হয় তিনি নামাজের কথা ভুলেই গেছেন।

তারপর তারাবির সময় হয়ে এলে যথেষ্ট সময় নিয়ে তিনি ইশা ও তারাবির নামাজ পড়তেন। সাড়ে দশটা অথবা এগারোটার দিকে ঘুমোতে যেতেন। আড়াইটার দিকে উঠে যেতেন। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা তাহাজ্জুদে কাটিয়ে দিতেন। অনেক সময় সেবকরা পাঁচটার সময় সাহরি প্রস্তুত করে এসে দেখতেন হযরত তখনও তাহাজ্জুদে নামাজ পড়ছেন।

ফজরের পর আটটা সাড়ে আটটার পর্যন্ত জিকির-আজকার, বিভিন্ন ধরনের আমল মুরাকাবা ধ্যানমগ্নে থাকতেন। ইশরাকের সময় হলে ইশরাক আদায় করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিতেন। এর মাঝে ডাক পিয়ন এসে গেলে প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র পড়ে তার উত্তর দেয়ার প্রয়োজন পড়লে সেগুলোর জওয়াব লিখতেন।

জরুরি ফতোয়া ও মাসআলা-মাসায়েল লিখাতেন। এরপর চাশতের নামাজ পড়ে কায়লূলা বা আরাম করতেন। জোহরের পর দরজা বন্ধ করে দিতেন। তারপর থেকে আসরের আজান পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াত করতেন। পাঠককে আবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, তখন তার বয়স ছিল সত্তরের বেশি। শুধু তা নয় এটা ওই রমজানের দিনরাত যে রমজানে তাঁর বার্ধক্য ছাড়াও কোমরে এতো তীব্র ব্যথা ছিল, তাঁর রুম থেকে শৌচাগার পর্যন্ত যার দূরত্ব্ ছিল মাত্র ষোল কদমের পথ। সে পর্যন্ত যেতে যেতে মাঝখানে একবার তাকে বসে পড়তে হতো। এতো কষ্ট সত্ত্বেও ফরজ তো ফরজই, নফল নামাজও তাকে বসে আদায় করতে দেখা যায়নি।

ঘণ্টার ঘণ্টা তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সেবকরা বারবার অনুরোধ করতো যে, হযরত! এতোটা কষ্ট না করলে নয় কি? কিন্তু বলতেন, না। এতো কম বড় হিম্মতের কথা। কি আশ্চর্য সাহস ও হিম্মত। আর কেনই বা হবে না? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ‘আমি কি শোকরগুজারি হবো না’? রাসুলের সেই মহাবাণীর মর্যাদা রক্ষা করা তার উত্তরাধিকারীর পক্ষে এমন হিম্মত ও আল্লাহর রাস্তায় পা রাখার দূর্জয় সাহস ছাড়া কখনো সম্ভব নয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ