রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের

ঈদুল ফিতরের ফযিলত ও তাৎপর্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তারেক জামিল ।।

ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জীবন এ এক অনন্যতম দিন,এ দিন মুসলমানদের আনন্দ-উৎসব,সাম্য-মেত্রী,প্রেম-ভ্রাতত্বের দিন,এ দিনের অনেক ফযীলত ও তাৎপর্য রয়েছে

ঈদুল ফিতরের অর্থঃঈদ অর্থ হল খুশি আর ফিতর অর্থ সমাপ্তি,সুতরাং ঈদুল ফিতরের অর্থ হল রোজার বিধান সমাপ্তির পর ঈদের আনন্দে উদ্ভাসিত হওয়া,এই আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগির জন্য ইসলাম ফিৎরার বিধান রেখেছে,যেন বিত্তবানরা দরিদ্রদের সাহায্য করে

ঈদুল ফিতরের সূচনাঃরাসূল (সাঃ) মদীনার ইহুদি,খৃস্টান,পৌত্তলিকদের দুটি জাতীয় উৎসব পালন করতে দেখলেন,রাসূল(সাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন এর বিশেষত্ব কি?তারা উত্তর প্রদান করল আমরা জাহেলিয়াত এর যুগে এ দুটি উৎসাহ পালন করতাম তাই এখন ও করি,তারপর রাসূল (সাঃ) বললেন আল্লাহ তায়ালা এর পরিবর্তে এর চেয়ে দুটি উত্তম উৎসব দান করেছেন,তা হল-ঈদুল ফিতার ও ঈদুল আযহা,সুতরাং তোমরা এ দুটি উৎসব পালন কর

ঈদুল ফিতরের ফযীলতঃহযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন ঈদের দিন মহান আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের মাঝে রোজাদারকে নিয়ে গর্ব করে বলেন,হে ফেরেশতাগণ! আমার কর্তব্যপরায়ণ বান্দার কি বিনিময় হতে পারে? তারা বলেন হে প্রভূ! পূর্ণরুপে পুরস্কার দান করাই তাদের প্রতিদান।আল্লাহ পাক বলেন আমার বান্দারা তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে।এরপর দোয়া করতে করতে ঈদগাহে গমণ করেছে,আমার মর্যাদা,সম্মান,দয়া,বড়ত্বের কসম আমি তাদের দোয়া কবুল করব ও তাদের গোনাহ সমূহ ক্ষমা করে দিব"

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্যঃঈদুল ফিতরের দিন শুভেচ্ছা বিনিময়,পরস্পর আলিংগন ও সহমর্মিতা বিনিময়ে গড়ে উঠে সামাজিক ও মানবিক সুসম্পর্ক,এটা হল ঈদুল ফিতরের সামাজিক তাৎপর্য,অপরদিকে বিশ্বের সকল মুসলমানদ যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে তাই রমজান বেশী বেশী দান করা,যাকাত,ফিৎরা প্রদান এর কথা বলা হয়েছে,এটা হল ঈদুল ফিতরের মানবিক তাৎপর্য পাশাপাশি ধনী-গরীব,সাদা-কালো,শিক্ষিত-অশিক্ষিত এক কাতারে মিলিত হওয়া এটা মানব সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত

কিন্তু পরিতাপ এর বিষয় আজ আমাদের থেকে সেই শিক্ষা উঠে গেছে,আজ পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ, কলহ-বিবাদে গোটা সমাজ বিপর্যয়ের পথে, এমতাবস্থায় ঈদের আসল শিক্ষা জীবন এ বাস্তবায়ন করে এই পৃথিবীটাকে একটি শান্তিময় নীড় এ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সচেস্ট হতে হবে,তাহলেই আমাদের ঈদ পালন অর্থবহ ও সার্থক হবে।

লেখক-শিক্ষার্থী,জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ