রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের

দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা বন্ধ থাকায় ক্রেতা শূণ্য এলাকা, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হুসাইন মাহমুদ ।।

দ্বিতীয় পর্যায় লকডাউন চলছে ভারতে। বিশ্বে করোনা আক্রান্তের হারে দেশটির নাম ওঠে এসেছে। লকডাউন চলছে ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের এলাকাতেও। দেওবন্দে সপ্তাহে পাঁচদিন বাজার খোলার নির্দেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে।

দারুল উলূম দেওবন্দ এবং আশেপাশের বাজারগুলি বর্তমান সময়ে খোলার নির্দেশ দিলেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে আছে এখানকার বিক্রেতারা।
দোকান খুলছেন কিন্তু অনেক দোকানদার আছেন যাদের কোনো ক্রেতাই নেই। তার কারণ হলো দারুল উলূম ও দারুল উলূম ওয়াক্ফসহ মহল্লার সব মাদরাসা বন্ধ থাকা।

বর্তমানে শিক্ষার্থী না থাকায় দোকানগুলি খোলা থাকলেও কাস্টমার শূণ্য। এই দোকানগুলির বেচা-কেনা নির্ভর করে একমাত্র মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপর। মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকায় লুকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের।

জরিপ অনুসারে, দারুল উলূম দেওবন্দ ও দারুল উলূম ওয়াক্ফসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রায় ২০,০০০ শিক্ষার্থী এখানকার দোকানদারদের আয়ের উৎস। আজ করোনা ভাইরাসের কারনে মাদ্রাসা বন্ধ হওয়ায় দেওবন্দে কেবলমাত্র অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে, এ কারণেই বর্তমানে ইসলামিক বাজার থেকে শুরু করে সব বাজার ক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়ছে। এখানে শিক্ষার্থী না থাকলে ব্যবসাও নেই, করোনার ভাইরাসের কারণে সব মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তাদের বাড়িতে চলে গেছে, খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে এখন মাদরাসায়।

ভারতের সরকার স্কুল-কলেজগুলির জন্য এখনও কোনো গাইডলাইন জারি করেনি, তাই বিশ্বখ্যাত ইলমি মার্কাজ দারুল উলূম দেওবন্দ এবং অন্যান্য মাদ্রাসাগুলি কবে খুলতে পারবে এবং এখানকার ক্রেতারা পূর্বের ন্যায় ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন তা বলা মুশকিল। এই করোনা ভাইরাস কত দিন থাকবে বলা সম্ভব নয়।

দরুল উলূমের চারপাশের রিকশা, ফল এবং শাকসব্জি, চায়ের দোকান, খাবারের হোটেল, পোশাকের দোকান সক ধরণের কাজ পুরোপুরি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভর করে। এখানে যদি শিক্ষার্থী না থাকে তবে দোকনিদের কোনও আয় নেই। শত শত হিন্দু পরিবারও মাদরাসাগুলোর উপর নির্ভর করে থাকে। ব্যবসা করে।

মিল্লাত টাইমস থেকে হুমাইন মাহমুদের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ