আওয়ার ইসলাম: করোনার মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় এবারের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। জানানো হয়, ফলাফল নির্ধারিত হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ফলের মূল্যায়নে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি ও সমমানে অটোপাসের ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। নম্বরপত্র তৈরির একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, নীতিমালাটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এটি অনুমোদনের সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ফল তৈরির কাজ শেষ হবে।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আলোকে নম্বরপত্র তৈরির খসড়া নীতিমালাটি করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এতে নম্বরপত্র তৈরির একটি বিস্তারিত ফরম্যাটে দেয়া হয়েছে, যা সবগুলো শিক্ষা বোর্ড অনুসরণ করতে পারবে।
নীতিমালায় জেএসসিতে ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে ৭৫ শতাংশ হারে বিষয়ভিত্তিক নম্বর নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। তবে জেএসসিতে অংশ না নেয়াদের শতভাগ নম্বর নির্ধারণ করা হবে এসএসসি পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী।
এ ছাড়া জেএসসি ও এসএসসিতে অতিরিক্ত বিষয় ও ব্যবহারিক নিয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের এইচএসসিতে জিপিএ-৫ বদলাতে পারে। একই নিয়ম মানা হবে বিষয়ভিত্তিক ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার্থীদের বেলায়ও।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, এইচএসসির ফল ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা যাবে। একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোডিংয়ের মাধ্যমে ফল তৈরি করা হতে পারে। নম্বর নির্ধারণের নীতিমালা অনুমোদন পেলে সব শিক্ষা বোর্ড ফল তৈরির কাজ শুরু করবে।
-এটি