আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ শ্রীলঙ্কায় ২০ দিনের একটি মুসলিম শিশুকে জোর করে দাহ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার এ ঘটনা মুসলিমবিশ্বে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে।
আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ব রাজনীতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশে প্রায় চার হাজার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিস্টান দাফন করেছে। হিন্দুদেরকে হিন্দুধর্মের রীতি অনুযায়ী, খ্রিস্টানদের খৃষ্ট ধর্মের বিধান অনুযায়ী দাফন করেছে। কোথায় মুসলমানরা তো হিন্দু বা খ্রিস্টান মৃতদেহকে তাদের ধর্মীয় বিধানের বাইরে কিছু করেনি। তাহলে শ্রীলঙ্কা সরকার কেন মুসলিম শিশুকে জোর জবরদস্তি করে দাহ করলো?
ইউনুছ আহমাদ বলেন, শ্রীলঙ্কায় সম্প্রতি ২০ দিন বয়সী একটি মুসলিম শিশুকে বাবা-মায়ের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও দাহ করে শ্রীলঙ্কা সরকার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ’র হৃদয়ে আঘাত করেছে। করোনায় মারা গেলেই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষ মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার সরকারি সিদ্ধান্ত বৌদ্ধ ধর্মের জন্য হতে পারে, কিন্তু অন্যধর্মের অনুভুতিতে আঘাত করার এখতিয়ার তাদের নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কট্টর বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিধানকে উপেক্ষা করে বৌদ্ধ ধর্মকে চাপিয়ে দেয়ার যে অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে তা থেকে ফিরে আসতে হবে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। তাদের হাত থেকে মিয়ানমারের মুসলমানরাও নিরাপদ ছিলো না। তারা খোড়া অজুহাত সৃষ্টি করে মুসলিম নিধনে মরিয়া হয়ে উঠছে। বার বার মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করেই যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কাকে তাদের এহেন কর্মকান্ড থেকে ফিরে আসতে হবে।
-এটি