আওয়ার ইসলাম: ‘ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া ঢাকা মুহাম্মদপুরের নেতৃবৃন্দ মাওলানা মামুনুল হকসহ ৩৬জন আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং তা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বলেন, দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি ও অদৃশ্য শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশের শীর্ষ ও জননন্দিত আলেম-উলামার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ শীর্ষ মুরব্বীদের শানে বেয়াদবীমূলক বক্তব্য ও আচরণ করে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটলে সরকার এর দায় এড়াতে পারবে না।
আজ (২২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার মুহাম্মদপুরে জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল আল্লামা আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া মুহাম্মদপুরের এর বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমীর, ওলীয়ে কামেল আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.কে একটি কুচক্রি মহল কবরের জগতেও অশান্তি সৃষ্টি ও কলংকিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যারা ২০১৩ থেকে ২০২০ সালে হযরতের স্বাভাবিক ইন্তেকাল পর্যন্ত কখনো ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে ক্ষমতা দখলের অযৌক্তিক হুংকার আর অপরিণামদর্শী বক্তব্যের মাধ্যমে, কখনো অদৃশ্য শক্তির চাটুকারিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে, আবার কখনো হালুয়া-রুটি হালাল করার জন্য দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চর হয়ে দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের মতলবে কওমী হালকার ঐতিহ্য বিনষ্টে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা রেখে আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর আকাশচুম্বি গ্রহণযোগ্যতাকে জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, এই গুটি কয়েক দুশ্চরিত্র কুলাঙ্গার হঠাৎ করে কীভাবে গাড়ি-বাড়ি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্তা হয়ে গেলেন, জাতি তা জানতে চায়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই জনবিচ্ছিন্ন লেবাসধারী মতলবাজ চক্রটি এবার হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর স্বাভাবিক ইন্তেকাল, যা তার বড় ছেলে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশী-বিদেশী মিডিয়ার সামনে পরিস্কারভাবে জাতিকে জানান দিয়েছেন এবং মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সকল আসাতেজায়ে কেরাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে হযরতের স্বাভাবিক মৃত্যুর স্বাক্ষ্য দিয়ে তাঁর ইজ্জত সুমন্নত রেখেছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, কওমি অঙ্গনের কলঙ্কিত গোষ্ঠী হযরতের মৃত্যুকে নিয়ে ঘোলা পনিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের এ অপচেষ্টা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফারুক আহমাদ, জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল ফালাহ এর প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ তালহা, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুর রহমান, ওয়াহিদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মাদ জুবায়ের, জামিয়াতুল আযিযের মুহতামিম মুফতি হাসান আহমাদ, আদাবর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুর রহমান, বাইতুল ফালাহ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, জামিআ মুহাম্মাদিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মাদ ফয়সাল, আশরাফুল মাদারিসের মুহতামিম মুফতি ইসমাঈল, বাইতুল জান্নাত মাদরাসার মাওলানা উমর ফারুক, আহসানুল উলুমের মুহতামিম মুফতি আমির হোসেন, আন-নূর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জুবায়ের মাজাহেরী, ফাতেমাতুজজোহরা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুল ইসলাম, তালিমুশ-শরীয়ার মুহতামিম আযিযুল হক, ঢাকা আদর্শ বালিকা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মেরাজুল ইসলাম, মুফতি ইসহাক মাহমুদ, মুফতি শামছুল আলম, মুফতি মাসিহুর রহমান প্রমুখ।
-এটি