বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

মার্কিন সৈন্যদের সহযোগিতাকারি ৭০ হাজার আফগানকে গ্রিন কার্ড দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যদের সহযোগিতাকারিদের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এ সংখ্যা ৭০ হাজারের বেশি বলে হোয়াইট হাউজের সূত্রে বলা হয়েছে। ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে মার্কিন সৈন্যরা ফিরবে শিগগিরই। তারপর আমেরিকান সৈন্যদের সহায়তাকারি আফগানরা তালেবানের শিকার হবে-এমন আশংকায় তাদেরকে বিশেষ অভিবাসন-ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আনা হবে।

২৫ জুন শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আসছেন হোয়াইট হাউজে। সে সময়েই বিষয়টির আলোকপাত করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

উল্লেখ্য, তালেবান-বিরোধী ঐ যুদ্ধে অংশ নেয়া মার্কিন সৈন্যদের অনুবাদক, গাড়ির ড্রাইভার, ইঞ্জিনিয়ার, নিরাপত্তা প্রহরী, রণাঙ্গনের বিশ্বস্ত সহযোগী এবং কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের কর্মচারি হিসেবে মোট ১৮ হাজার আফগানের একটি তালিকা করা হয়েছে। এদের পরিবারের সদস্য ৫৩ হাজার। এদের বিশেষ অভিবাসন ভিসা দেয়া হবে। এই ভিসার আবেদন প্রসেসিংয়ের আগেই মার্কিন সৈন্যরা আফগান ত্যাগ করছে বলে সকলকেই নিকটবর্তী একটি দেশে স্থানান্তরের কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন।

কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তালেবানরা এদেরকে বাঁচতে দেবে না। তবে ভিসা ইস্যুর আগ পর্যন্ত তারা কোন দেশে অবস্থান করবেন সেটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ঐ আফগানদেরকে পরিবারের সদস্য-সহ তৈরী থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন সৈন্যদের শেষ বহর কাবুল ত্যাগের আগেই তাদেরকেও নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হবে। হোয়াইট হাউজের সিনিয়র কর্মকর্তারা অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে, কেউ যদি ভিসার জন্যে বিবেচনার বাইরে থাকেন, তাহলে তাকে ঐ তৃতীয় দেশেই বাকিটা জীবন কাটাতে হতে পারে। অর্থাৎ আবেদন করলেই যে, বিশেষ অভিবাসনের ভিসা সকলেই পাবেন তার নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে না। তবে হোয়াইট হাউজ থেকে আইন প্রণেতাগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে ঐ যুদ্ধে সহযোগিতাকারিদের যুক্তরাষ্ট্রের অকৃত্রিম বন্ধু ভাবতে হবে এবং সেভাবেই সবকিছু করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে অন্য কেউ আন্তরিকতা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের পাশে দাঁড়াতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে না।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ