শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

শরিকদের সঙ্গে আজ প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় তিন বছর পর শরীকদের সঙ্গে সরাসরি এ বৈঠক হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন পর শরিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয়গুলো উঠে আসবে। সেখানে নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও কীভাবে মজবুত করা যায়, কোথায় কোথায় দুর্বলতা, কী করা দরকার এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

শরিকদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসতে পারে বলে জানা গেছে। ১৪ দলের নেতারা তাদের মনের কথাগুলো সেখানে তুলে ধরবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের ভূমিকা কী হবে স্বাধীনতাবিরোধী জোটকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় এসব কর্মকৌশল নির্ধারণ হতে পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু ছাড়াও অংশ নেবেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সভাপতি দীলিপ বড়ুয়াসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সব দলের দু’জন নেতাকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২০০৮ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়। তখন থেকেই জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় ১৪ দল। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব ছিল।

কিন্তু সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরগঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকেই জোট শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। আওয়ামীলীগের প্রতি শরীকরা জোটের বৈঠক, দলের বিবৃতি, বক্তৃতা এমনকি জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করে।

করোনাকালীন মাঠের রাজনীতিতে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি শরীকদের। তবে দিবসভিত্তিক ভার্চ্যুয়াল সভা করেছে নিয়মিত। সর্বশেষ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে শুক্রবার ১৪ দলীয় জোটের ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ