সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬


‘যতদিন শেখ হাসিনা থাকবেন ততদিন জনগণ কষ্টে থাকবে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: যতদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন জনগণ কষ্টে থাকবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। শ্রীলঙ্কায় দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আমরা বা বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবো না।’

তিনি বলেন, ‘ছয় দফা নিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম সভা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিন বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠনে পরিণত হলো এ সংগঠন। বঙ্গবন্ধু ভোগের রাজনীতি করতেন না, ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। শেখ মনিও ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। আপনারা যারা পদ নিবেন লোভের আশায় নিবেন না। বঙ্গবন্ধুকে যেমনি আমরা হারিয়েছি তেমনি এমন একজন নেতা শেখ ফজলুল হক মনিকেও হারিয়েছি আমরা।’

গতকাল সোমবার নগরীর দি কিং অব চিটাগাং-এ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ সেলিম আরো বলেন, ‘দেশে করোনার মহামারী হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। তারপরও দেশ সুন্দরভাবে চলছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে। বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেও পেয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এ তেলের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে রেখেছেন। শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে। এ সেতু নিয়েও কত কথা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত কিছুকে পেছনে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করেছেন। এ পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। দেশে উন্নয়ন হয়েছে, যা দেশের মানুষ চোখে দেখছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। আমেরিকা-কানাডায় যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হয়। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ কখনও পিছিয়ে পড়বে না। বরং সামনে এগিয়ে যাবে।’

জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগরের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হাসান খান নিখিল।

আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে জানিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধক যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে নীল নকশা তৈরি করছে একটি মহল। এ অপচেষ্টা বাস্তবায়ন করতে এক-এগারোর কুশীলবরা উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু এটি কখনো সম্ভব না। কারণ শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। এ দেশে শেখ হাসিনার চেয়ে বিশ্বাসযোগ্য আর কেউ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বই শুধু গঠিত হবে না, একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা হবে। নতুন নেতৃত্বের হাতে অনেক চ্যালেঞ্জ। নতুন নেতৃবৃন্দকে নতুনভাবে দল গুছাতে হবে। সেইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যুবলীগ করতে হলে স্বচ্ছ ও ন্যায়ের রাজনীতি করতে হবে।’

যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ আরো বলেন, ‘কথিত সুশীলরা আরও একটি এক-এগারোর আয়োজন করতে চায়। ক্ষমতার লোভে আপনারা এসব অপরাধ বন্ধ করেন। কোনও জাতীয় সংকটে তো আপনারা জনগণের পাশে থাকেন না। আপনারা ভুলে যাবেন না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন জনগণই তাঁর শক্তি। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। তিনিই ন্যায়ের প্রতীক। কিছু কিছু গণমাধ্যম বিরোধী দলের ভূমিকায় নেমেছে। গণমাধ্যম দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। সরকার ব্যর্থ- এটা প্রমাণ করতে মরিয়া একটি মহল। এ সমাজের একটি মহল সবসময় মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের ধারাবাহিক গণতন্ত্র তাদের পছন্দ নয়।’

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। ২০২৩ সালে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পরিশ্রম করতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হতে হবে, গ্রুপিং বন্ধ করতে হবে, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে হবে।’

বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম. আবদুল লতিফ, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দীন চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।

বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল আলম, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। কেন্দ্রীয় নেতা আদিত্য নন্দী, মো. আব্দুর রহমান, নাসির উদ্দীন মিন্টু, কায়কোবাদ ওসমানী, প্রফেসর ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, মইনুল ইসলাম মামুন, মুনায়েম খান, সংগঠক মো. নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ