সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬


আফগানিস্তানের পাশে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাঈয়েদা হাবিবা: গত মাসে আফগানিস্তানে ৫.৯ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছে। এতে দেশটির অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১১শ। আহত হয়েছে প্রায় দুই হাজার। ২০০২ সালের পর আফগানিস্তানে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।

আফগানিস্তানের এই ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশসহ অনেক মুসলিম দেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান সরকারকে শুকনো খাবার (বিস্কুট, নুডলস, গুঁড়ো দুধ), কম্বল, তাঁবু ও ওষুধ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় এই ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে।

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে গমনাগমনের বিষয়ে তৎকালীন আফগান সরকার ও সাধারণ জনগণ বিশেষ সহায়তা করেছিল। সম্প্রতি আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বাজেট থেকে এক কোটি টাকা জাতিসংঘের একটি সংস্থার তহবিলে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে আফগানিস্তানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ইরান। ভূমিকম্পের পর পাঁচটি বড় বড় জাহাজে খাবার, ওষুধ, পোশাক, তাঁবু পাঠিয়েছে দেশটি। এছাড়াও ইরান নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি পাঠিয়েছে মেডিকেল টিম। ইরানের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়েই তারা আফগানিস্তানের এই দুর্দিনে পাশে থাকবে।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মনসুর আহমেদ খান বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তালেবান কর্মকর্তাদের কাছে সেগুলি হস্তান্তারও করা হয়েছে। এই কঠিন সময়ে আফগান ভাইদের সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য। পাকিস্তান থেকে ১৯ সদস্যের একটি স্বাস্থ্যকর্মীর দল আফগানিস্তানে বিপর্যস্ত মানুষদের সাহায্য করেছে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানায়, পাকিস্তান তার উত্তর সীমান্ত খুলে দিয়েছিলো। গুরুতর আহত আফগান নাগরিকদের হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মিডেল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক, কাতার ও আরব আমিরাত থেকেও আফগানিস্তানে সহায়তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোন দেশ থেকে কি পরিমাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছুই বলা হয়নি।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ