বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজন অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করতে হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশােদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ ধূমপায়ীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পারবেন না ইসরায়েলের অস্ত্রের চালান আটক বেলজিয়ামের হাতে যমুনায় জামায়াতসহ ইসলামি ৮ দলের প্রতিনিধিরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন সুষ্ঠ করতে জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ ৮ সুপারিশ লিবিয়ায় বাংলাদেশীকে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা আদায়, মানব পাচারকারী গ্রেপ্তার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন পেল লতিফ সিদ্দিকী

ভেসে উঠল ১২০ বছর পুরানো অক্ষত মসজিদ, দেখতে ছুটে আসছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রফিকুল ইসলাম জসিম ।।

জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা লেগেছে বিশ্বজুড়ে। আবহাওয়া উষ্ণায়নের পৃথিবীতে কমে কমে যেতে শুরু করেছে পানি। তার ছোঁয়া লেগেছে ভারতের বিহার রাজ্যেও।

শুকিয়ে আসতে শুরু করেছে ১৯৭৯ সালে নির্মিত একটি বাঁধে আটকে রাখা পানি। আর এতে দেখা মিলেছে ১২০ বছরের পুরোনো ছোট্ট একটি মসজিদের। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পানির নিচে থাকলেও তাতে মসজিদের কোনো ক্ষতি হয়নি। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

গত বুধবার কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিসের এক খবরে বলা হয়, ভারতের বিহার রাজ্যের নওয়াদা জেলার চিরাইলা গ্রামে ফুলওয়ারিয়া বাঁধের পানি খরার প্রভাবে সম্প্রতি শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এর আগে যখন পানির স্তর কমে যেত, তখন মসজিদের গম্বুজের একটা অংশ দেখা যেত। ফলে কৌতুহল জাগলেও এটি ঠিক কী জিনিস তা অনেকেই বুঝতে পারেনি। এবার পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ মসজিদটির দেখা মেলে।

স্থানীয় প্রবীণরা জানান, মসজিদটি বিংশ শতকের প্রথমদিকে নির্মিত হয়। মুঘল রীতিতে নির্মিত মসজিদটির বয়স এখন প্রায় ১২০ বছর। স্থানীয়রা এ মসজিদের নাম দিয়েছিল নূরী মসজিদ। মাটি থেকে গম্বুজ পর্যন্ত মসজিদর উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট।

১৯৭৯ সালে এখানে ফুলওয়ারিয়া ড্যাম নির্মাণ শুরু হয়। সে সময় এ এলাকায় প্রচুর মুসলমান বসবাস করত। এ মসজিদে তারা নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু সরকার বাঁধ নির্মাণ শুরু করলে মুসলমানদেরকে এই জায়গা ছেড়ে উঠে যেতে হয়। সরকার পুরো জায়গাটি অধিগ্রহণ করে গ্রামবাসীকে অন্য একটি গ্রামে স্থানান্তর করে। বাঁধ নির্মাণের সময় প্রয়োজন না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ মসজিদটির কোনো ক্ষতি করেনি।

বাঁধের পানি শুকিয়ে গেলেও পুরো এলাকা কাদাময় হয়ে আছে। কিন্তু এরমধ্যে কৌতুহলী মুসলমানরা কাঁদা মাড়িয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। তারা দেখতে পান মসজিদটি পুরোপুরি অক্ষত রয়েছে। কয়েক দশক ধরে ডুবে থাকলেও কাঠামোর সামান্যতম ক্ষতি হয়নি। সূত্র: এক্সপ্রেস নিউজ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ