রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫ ।। ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১২ জিলহজ ১৪৪৬


নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছে না সাভারের আড়তদাররা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহার পর রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্য মানতে নারাজ আড়তদাররা। লোকসানের অজুহাতে চামড়া কিনতে চাইছেন না নির্ধারিত দামে। ফলে চামড়া বিক্রেতা ও ফড়িয়াদের সঙ্গে চলছে টানাপোড়েন ও দরদাম নিয়ে উত্তেজনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঈদ জামাতের পর সারা দেশে হয়েছে লাখ লাখ পশু কোরবানি। এখন চলছে চামড়া সংগ্রহ। ঢাকা শহরের ভেতরের বেশির ভাগ চামড়া আসে সায়েন্স ল্যাব এলাকায়। সকাল ১০টা থেকে তাই এখানে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে আসতে শুরু করেন বিক্রেতা ও ফড়িয়ারা।
 
এখান থেকে চামড়া যাচ্ছে পোস্তা কিংবা সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর আড়তগুলোতে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের চলছে বাদানুবাদ। বিক্রেতারা বলছেন, মান অনুযায়ী চামড়ার নায্য দাম মিলছে না।
 
এদিকে দুপুর ১২টা থেকে ইজিবাইক, অটোরিকশায় আশপাশের এলাকা থেকে চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী সংলগ্ন আড়তগুলোতে।

চামড়া নিয়ে এখানেও চলছে টানাটানি ও দরকষাকষি।
 
প্রতিপিস গরুর চামড়া মানভেদে ৬০০-৭০০ টাকা দাম হাঁকছেন আড়তদাররা। ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছাগলের চামড়া। দাম নিয়ে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আড়ত মালিকদের সংগঠন বলছে, লোকসান এড়াতে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনবেন না তারা।

সাভার কাঁচা চামড়া আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিজ বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা সম্ভব নয়। কারণ, চামড়ার সঙ্গে লবণ ও শ্রমিক খরচ যুক্ত হবে। নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলে লোকসান হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর চার লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ হবে হেমায়েতপুরের আড়তগুলোতে। এদিকে ঈদের পর ১০ দিন অন্য জেলার চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ