বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের মজলিসে উমুমির সভা বুধবার (৩০ এপ্রিল) গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ১৩০০ মাদরাসার মুহতামিম, নাজেমে তালিমাত ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের সভাপতি ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের যে সব ধারা সরাসরি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলো বাতিলের আহ্বান জানান।
তাদের বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম নারী-পুরুষকে স্বতন্ত্র মর্যাদা দিয়েছে, তাদের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং ভূমিকাও আলাদা। এটাই প্রাকৃতিক ও ন্যায্য!
বক্তারা বলেন, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদকে টেনে ধর্মীয় আইনের ‘বৈষম্যমূলক’ অবস্থান দাবি করে নারী-পুরুষের মধ্যে এক বিকৃত সাম্য চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ইসলামী বিবাহ, তালাক ও পারিবারিক বিধান নাকি বৈষম্যমূলক! এর মানে হলো, তারা ইসলামের হুকুম বাতিল করে পরিবার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে নারীদেরকে তথাকথিত স্বাধীনতার নামে ভোগের পণ্যে পরিণত করা করতে চায়। যা কোনোভাবেই হতে দেওয়া উচিত না। অথচ ইসলাম এ বিষয়ে কোরআন, হাদিস দ্বারা সুস্থ সমাধান দিয়েছে, যা সকলের জন্য মর্যাদার, কল্যাণকর এবং শান্তির।
দায়িত্বশীলরা আরও বলেন, ইসলামের পারিবারিক আইন কোনো বৈষম্য নয়, বরং তা নারীর মর্যাদা, সম্মান ও নিরাপত্তার একমাত্র গ্যারান্টি! শরিয়াহ আইন আমাদের ঈমানের অংশ। এর মধ্যে কোনো ধরনের সংস্কার বা পরিবর্তন আনা যাবে না। সুতরাং নারী উন্নয়ন বিষয়ক কমিশনের যে যে ধারা কোরআন সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক সে সব ধারা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে কবে। কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো ধারা এ দেশের মানুষ মানবে না।
বৈঠকে দায়িত্বশীলরা দেশের উলামা মাশায়েখ ও জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
মজলিসে উমুমিতে ফরিদপুরের প্রবীণ আলেম ও বাহেরদিয়া মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মাওলানা আকরাম আলীকে বোর্ডের সিনিয়র সহসভাপতি ও চিতলমারী উপজেলার মাওলানা আব্দুর রহমানকে সহসভাপতি মোল্লাহাট বাগেরহাটের কাচনা দাড়িয়ালা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল্লাহকে সেক্রেটারি দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও দুটি যুগ্ম মহাসচিব পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
বৈঠকে বোর্ডের বিগত বছরের কার্যক্রমের রিপোর্ট পেশ করা হয় এবং আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
এসএকে/