শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ঠাকুরগাঁওয়ে খোঁজ মিলছে না তিন মাদরাসা ছাত্রীর


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ে আয়শা সিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার তিন ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নিরাপত্তার ঘাটতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।

নিখোঁজ ছাত্রীরা হলেন— দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মুরারিপুর গ্রামের শাহজালালের মেয়ে জুঁই (১৪), একই উপজেলার গণকপয়েন গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তামান্না (১৬) এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দনগর এলাকার রবিউলের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা (১৩)। জুঁই ও তামান্না আলিম শাখায় অধ্যয়নরত এবং আয়শা হাফিজি বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে মাদরাসায় সর্বশেষ দেখা যায় তাদের। ভোরে ডাকতে গেলে রুমে পাওয়া যায়নি। পরে মাদরাসার দোতলার বারান্দায় মশারি ঝুলতে দেখে কর্তৃপক্ষ ধারণা করে তারা পালিয়ে গেছে।

শহরের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১টার দিকে তারা রিকশায় প্রথমে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে যায়, পরে রেলস্টেশনে পৌঁছায়। সেদিন ট্রেন না থাকায় তারা একটি আবাসিক হোটেলে ভোর ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করে। এরপর হোটেল ম্যানেজারের সহায়তায় আবার স্টেশনে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে পীরগঞ্জগামী একটি অটোরিকশায় রওনা হয়।

এ ঘটনায় আয়শা সিদ্দিকার পরিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে।

নিখোঁজ তামান্নার মা আখলিমা বেগম অভিযোগ করেন, মাদরাসায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। ভবনের বারান্দায় কোনো গ্রিল ছিল না, প্রহরীও রাখা হয়নি। আমরা ভরসা করেই মেয়েদের সেখানে রেখেছিলাম। কিন্তু এত বড় অবহেলা সহ্য করা যায় না।

অন্যদিকে, আয়শার বোন লাবনী ঢাকা মেইলকে জানান, কিছুদিন আগে তার বোন মাদরাসায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছিল এবং দ্রুত বাড়ি নিয়ে যেতে অনুরোধ করেছিল। আমরা সেই সময় নিয়ে আসিনি। হয়ত অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণেই তারা পালিয়েছে।

মাদরাসার প্রধান শিক্ষিকা হামিদা বেগম স্বীকার করেছেন নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। তবে তিনি নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি, ওরা হয়ত কোনো ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুফাসসির মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি নির্যাতন করতাম, তাহলে তারা বাড়ি চলে যেত। পালিয়ে যাওয়ার দায় আমাদের নয়।

ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েদের কাছে কোনো মোবাইল না থাকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই নিখোঁজ কিশোরীদের খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে পুলিশ।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ