বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ ।। ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৯ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা পাকিস্তানের ভারতের আরেক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, সবমিলিয়ে দাঁড়াল তিনে পাকিস্তানের অন্তত তিন জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো সহায়তা চাননি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হঠাৎ আইএসআই সদরদপ্তরে তিন বাহিনীর প্রধানের সাথে শাহবাজ, যুদ্ধের প্রস্তুতি? হজ উইথ আয়েশার ডিজিটাল লাইব্রেরি ও দাতব্য ফাউন্ডেশন উদ্বোধন আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন জোট, রয়েছে যেসব সংগঠন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব করেছি: সারজিস আলম নোয়াখালীতে মসজিদের ইমামকে মারধর, গ্রেপ্তার-২ মদিনার মুসাফিরদের প্রতি বিনীত নিবেদন

আমি মুসলমানদের বাদ দিয়ে কাজ করতে পারব না : মমতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার  ইসলাম: তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল, তিনি সংখ্যালঘু তোষণ করেন। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তিনি কাউকে তোষণ করেন না। তবে তিনি অবশ্যই সংখ্যালঘু(মুসলমান)দের পক্ষে।

কেন, তা-ও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে জন্য বেছে নিয়েছেন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হাড়োয়াকেই। সরকারি মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন, ‘‘আমাকে প্রশ্ন করা হয়, তুমি কেন সংখ্যালঘুদের পক্ষে? এ রাজ্যে ৩১% সংখ্যালঘু। তাদের বাদ দিয়ে সব কাজ করতে হবে? আমি তা পারব না। তাই আমি সংখ্যালঘুদের পক্ষে।’’

যা শুনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘উনি শুধু ৩১%-এর। আমরা ১০০%-এর।’’

তাঁর সরকার তফসিলিদের পাশেও রয়েছে, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্যের ২৩.৬% মানুষ তফসিলি জাতির। সংখ্যালঘুদের মতোই তফসিলিদের জন্যও কাজ করছে সরকার। এ জন্য তাঁর গর্ব হয়।

এ দিনের সভা সরকারি পরিষেবা বিতরণের জন্য হলেও মুখ্যমন্ত্রী প়ঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই যা বলার বলেছেন। ইদানীং বিজেপি তাঁর ‘সংখ্যালঘু রাজনীতি’ নিয়েই সরব হচ্ছে বেশি।

এ দিন পাল্টা বিজেপি-কে ছদ্ম হিন্দুত্ববাদী বলে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘আমি তো দুর্গাপুজো করি, আবার ইফতার-বড়দিনেও যাই। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। এরা এখন স্বামী বিবেকানন্দের চেয়েও বড় হিন্দু হতে চাইছে। স্বামীজি সব ধর্মের জন্য রাখা হুঁকো খেয়েছিলেন। তাঁর কি জাত গিয়েছিল?’’

এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘শুনলাম এক জন গুজরাতের প্রচারে আজানের সময় ভাষণ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু ভোটের সময় এই নাটক কেন? যখন দলিতদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে তখন মুখে রা-টি নেই। গুজরাতে যা হয় বাংলায় তা হয় না।’’

তা হলে বাংলায় কী হয়? মমতা জানান, জন্ম থেকে মৃত্যু সব ধরনের প্রকল্প হয়েছে। ৮১ লক্ষের চাকরি হয়েছে। এখানে সরকার কাজ করে, দিল্লির সরকার শুধু টাকা কেটে নেয়। প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘যদি কাজটা করে নাক কাটা, কান কাটার কথা বলতেন তো ভালই হতো। কাজের বেলা তো লবডঙ্কা।’’

দিলীপবাবুর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘যিনি নাক কাটার কথা বলেছিলেন, তাঁকে দল থেকে বসানো হয়েছে। হিম্মত থাকলে অনুব্রত মণ্ডলকে ইস্তফা দিতে বলুন মুখ্যমন্ত্রী।’’

আনন্দবাজার পত্রিকা


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ