বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ. লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে: হাসনাত জুলাই গণহত্যা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন সরকারের মধ্যস্থতায় হামিদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে: নুর আ. লীগের বিচারে সরকারের নতুন উদ্যোগ, জানালেন উপদেষ্টা স্কুলে নৈতিক শিক্ষা ছোট থেকেই দেয়া উচিত : মাসউদুল কাদির সিলেটে খেলার মাঠ নিয়ে বিএসএফ-স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে উপহার দিল জামায়াত আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আলেমবিদ্বেষী বক্তব্যে ফটিকছড়িতে উমামা ফাতেমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা সমমনা ইসলামী জোটের বৈঠকে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত

১৫ মে থেকে নামবে রাজশাহীর আম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাজারে নিরাপদ ও পরিপক্ক আম নিশ্চিত করতে এবারও গাছ থেকে নামানোর সময় বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষিবিদ, ফল গবেষক, চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা করে জেলা প্রশাসন আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করে।

সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সব ধরনের গুটি জাতের আম নামানো যাবে আগামী ১৫ মে থেকে। আর গোপালভোগ ২০ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা, রানীপছন্দ ২৫ মে এবং হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি ২৮ মে থেকে নামিয়ে হাটে তুলতে পারবেন বাগান মালিক ও চাষিরা। এ ছাড়া ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি ও আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামানো যাবে। নির্ধারিত সময়ের আগে আম বাজারে পেলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। কারও বাগানে নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পাকলে তা প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এটা প্রস্তাবিত সময়সীমা। দুই বছর ধরে একই সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এর এক সপ্তাহ আগে বা পরে আম পাকতে পারে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে আমের বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়টিও সভায় আলোচনা হয়েছে। হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে। সংশ্নিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনাররাও বিষয়টি দেখভাল করবেন।

রাজশাহীতে সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে। এ ছাড়া পুঠিয়ার বাঘার আড়ানী, মনিগ্রাম, বাউসা ও পাকুড়িয়া এবং মোহনপুরের কামারপাড়ায় পাইকারি আমের হাট বসে। হাটগুলোর বিষয়ে সংশ্নিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহীতে এ বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। গত বছর ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এবার বাগান বেড়েছে ৩৭৩ হেক্টর জমিতে। এ বছর হেক্টরপ্রতি ১১ দশমিক ৯ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে জেলায় এ বছর দুই লাখ ১৯ হাজার টন আম উৎপাদন হবে। তবে খরার কারণে এবার আমের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ