পাকিস্তানের আলোচিত আলেম মাওলানা মাসুদ আজহার জানিয়েছেন, আজাদ কাশ্মিরে বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় তার পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।
বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, তার নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু।
হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা মাসুদ আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’ মাসুদ আজহার বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’
জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।
সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, ওই হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মাও নিহত হয়েছেন।
মাওলানা মাসুদ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ২৪টি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই হামলায় ৭০ জনের বেশি নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
মাওরানা মাসউদ আজহার জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তানিদের কাছে মুজাহিদ হিসেবে পরিচিত হলেও ভারত তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনে করে। ২০১৮ সালের ১ মে, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক মাসউদ আজহারকে আন্তর্জাতিক মুজাহিদ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
এমএইচ/