বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ. লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে: হাসনাত জুলাই গণহত্যা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন সরকারের মধ্যস্থতায় হামিদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে: নুর আ. লীগের বিচারে সরকারের নতুন উদ্যোগ, জানালেন উপদেষ্টা স্কুলে নৈতিক শিক্ষা ছোট থেকেই দেয়া উচিত : মাসউদুল কাদির সিলেটে খেলার মাঠ নিয়ে বিএসএফ-স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে উপহার দিল জামায়াত আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আলেমবিদ্বেষী বক্তব্যে ফটিকছড়িতে উমামা ফাতেমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা সমমনা ইসলামী জোটের বৈঠকে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত

সড়ক সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরে চলাচলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করে থাকেন।

বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে তারা সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কটিতে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ইবি থানা পুলিশের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ ও গায়ে হাত তুলেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়কে বাঁশ-ইটপাটকেল ছড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

তবে পুলিশ সদস্যরা গায়ে হাত তোলার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের কাছে একজন এএসআই পদমর্যাদার অফিসার ক্ষমাপ্রার্থনা করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নেয়। তবে দ্রুত সড়ক সংস্কার না করলে পুনরায় আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ প্রশাসন গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তারা বলছেন এটা সিভিল ড্রেসের কেউ করেছে। তবে আমি বলেছি আমাদের কাছে ফুটেজ আছে, সেখানে যদি আপনাদের লোক হয় তাহলে দায় আপনাদেরই নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি। সামনে ক্লাস খুলবে ভাঙা রাস্তায় নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। ওরা ওদের লেখাপড়ার স্বার্থে এ আন্দোলন করেছে। পুলিশকে আমরা শুরু থেকেই সতর্ক করেছি যাতে শিক্ষার্থীদের জোর না করা হয়। ওরা যে দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে সেজন্য তাদের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি সত্যিই অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ