বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোটের সংলাপ: ৭ দফা ঐকমত্য ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: তিন দিনে ভারতীয় ১৬ ড্রোন ভূপাতিত নারী কমিশন বাতিল না করা সরকারের জন্য অমঙ্গলজনক: খেলাফত মজলিস মসজিদ-মাদরাসায় হামলা ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিফলন: খেলাফত মজলিস ভারতীয় মুসলিম নেতারা হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের আস্থা অর্জন করতে পারবেন কি? ‘আল্লামা সুলতান যওক নদভীর স্মৃতি নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করবে’ পাক-ভারত যুদ্ধ : ঈমানের লড়াই না ভূখণ্ডের দ্বন্দ্ব? ‘নারী কমিশন ইস্যুতে বিতর্ক জিইয়ে রাখা সরকারের উচিত হচ্ছে না’ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত – শান্তির শেষ সুযোগ কি ইসলামাবাদের হাতে? পাকিস্তানে নয়, মোদি নিজের ওপরই হামলাটা করলেন

মহানবী সা. কে নিয়ে কটূক্তির মামলায় তিনজনের ১০ বছর কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাবনার আতাইকুলায় হযরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে অবমাননাকর প্রচারণার ঘটনায় দায়রকৃত মামলায় তিনজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই মামলায় প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে আড়াইটার দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

পরে আদালতের নির্দেশে আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আমিনুল এহসান, জহিরুল ইসলাম ও খোকন। এদের মধ্যে খোকন পলাতক।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা জানান, ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর রাজীব নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী সা. কে কটূক্তি করে ছবি আপলোড করা হয়। এতে মুসলিমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী রাজীবের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর করে আগুন দেয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় ৫৭ ধারায় মামলা করে।
তবে ঘটনার পুলিশি তদন্তে জানা যায়, আসামি আমিনুল এহসান তার ফটোকপির দোকান থেকে মহানবীকে কটূক্তি করা ছবি ফটোকপি করে বিক্রি করে। আরেক আসামি খোকন আসামি জহুরুলের কম্পিউটারের দোকান থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী রাজীবের ফেসবুকে তা আপলোড করে প্রচার করে। মামলার অন্যতম আসামি আমিনুল এহসান আদালতে ১৬৪ ধারায় এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর পুলিশ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।

চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়। পরে ওই বছরের ১১ নভেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থানান্তর করা হয়। পরে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার দুপুরে বিচারক জিয়াউর রহমান ১০ জন আসামির মধ্যে তিনজনকে দশ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ