শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
একটি স্নিগ্ধ দীপ্তির নাম: মাওলানা সুলতান যওক নদভী রহ. জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার, বিশ্বমানের বাংলাদেশি আলেম চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ

ধন্যবাদ লন্ডন: সাদিক খান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

'ধন্যবাদ লন্ডন। যে শহরকে আমি ভালোবাসি, সেই শহরের সেবা করা আমার জীবনের সম্মান। আজ ইতিহাস গড়ার বিষয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যত গঠনের বিষয়। এবং আমি প্রতিটি লন্ডনবাসীর জন্য একটি ন্যায্য, নিরাপদ এবং সবুজ শহর গঠনে নিরলসভাবে কাজ করব।' 

নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সাদিক খান লন্ডনবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একথা গুলো বললেন লন্ডনের তৃতীয়বারের জন্য জয়ী  প্রথম মুসলিম মেয়র পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান।

লন্ডনের প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ সবুজ শহর গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন তিনি।

গত ৪ মে সাদিক খান ৪৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ প্রতিদ্বন্দ্বী সুসান হলকে প্রায় ১১ শতাংশ পয়েন্টে পরাজিত করেছেন। 

সিএনএন জানিয়েছে, কনজারভেটিভরা বৃহস্পতিবার ১০টি স্থানীয় কাউন্সিল এবং প্রায় ৫০০ কাউন্সিলরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

সিএনএন জানিয়েছে, ৯০ লাখ মানুষের আবাসস্থল শহরটি সামগ্রিকভাবে যুক্তরাজ্যের চেয়ে বেশি বহুসংস্কৃতি, উদার এবং ইউরোপপন্থী।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান সুযোগ-বঞ্চিত পরিবারের ছেলে। সাদিক খান তার বাপ-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।

তারা থাকতেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি এলাকায় দরিদ্রদের জন্য তৈরি সরকারি কাউন্সিল ফ্ল্যাটে।

জন্ম ১৯৭০ সালে। সাদিক খান ছোটবেলা থেকেই মুসলিম ধর্মবিশ্বাসকে লালন করেছেন। ২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১০ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান বলেছিলেন ‘আমি উদ্ধত কোনো মন্তব্য করতে চাই না- তবে ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, খুব কম মুসলমানকে বলতে শোনা যায় ‘আমি একইসঙ্গে ব্রিটিশ, মুসলমান এবং লন্ডনবাসী- তা নিয়ে আমি গর্বিত।’

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ