শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ ।। ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে কখনো ভুল করে না : শিবির সভাপতি প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের এনসিপির সাথে চামড়াশিল্প রক্ষা কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে  ওলামা-ত্বলাবার মানববন্ধন বিভিন্ন সংস্কার কমিটির মাধ্যমে কিছু কুসংস্কার প্রস্তাবনা এসেছে: খেলাফত আন্দোলন আল্লামা সুলতান যওক নদভী (রহ.)-এর কবর জিয়ারতে শায়েখে চরমোনাই অসুস্থ জমিয়ত সহ-সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চবিতে কওমী স্টুডেন্টস নেটওয়ার্কের যাত্রা, সভাপতি আতহার নূর কাকে জুলাইয়ের গাদ্দার বললেন সাদিক কায়েম?

ছড়িয়ে পড়ছে স্ক্যাবিস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

স্ক্যাবিস একটি চরম বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক চর্মরোগ। রোগটি বছরের যেকোনো সময় হতে পারে। তবে সাধারণত গরমের সময়ই এ রোগ বেশি ছড়ায়। আর যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে তাই ছড়ায়ও দ্রুত। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমেই মূলত এ রোগ একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায়। ইতোমধ্যে কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এবং তা দ্রুত ছড়িয়েও পড়ছে। 

স্ক্যাবিসের লক্ষণ

কোনো ব্যক্তির স্ক্যাবিস হলে তার শরীর চুলকাবেই। এটাই এ রোগের প্রধান উপসর্গ। স্ক্যাবিস শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তবে ঘাড়, কোমর, যৌনাঙ্গ, হাতের তালু, দুই আঙ্গুলের চিপায়, বগলের নিচে বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বেশি স্ক্যাবিস হয়। স্ক্যাবিস হলে প্রথমে লাল ফুসকুড়ি ওঠে। প্রচন্ড চুলকানি ছাড়াও আক্রান্ত স্থান থেকে বের হতে পারে পানির মতো তরল। অত্যধিক চুলকানির ফলে অনেক সময় ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়। মোটা দাগে এসবই স্ক্যাবিজের লক্ষণ হলেও ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে। যেমন, ডায়রিয়া বা জ্বর। রাতে চুলকানির তীব্রতা বেড়ে যায়। সব বয়েসি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও স্ক্যাবিসে শিশুরাই ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

যেহেতু স্ক্যাবিস এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ তাই এ রোগে ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তার সংস্পর্শ থেকে সুস্থ্য ব্যক্তিদের দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। এছাড়া একজন আক্রান্ত হলে ঘরের অন্য সদস্যদেরও চিকিৎসার পরামর্শ চিকিৎসকেরা দিয়ে থাকেন ।

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা

স্ক্যাবিসে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি অপরিহার্য বিষয়। গরম পানি সহকারে সাবান দিয়ে গোসল করার পর ভালো করে মুছে ফেলতে হবে শরীর। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরের সব জায়গায় ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ৮ থেকে ১২ ঘন্টা পর সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে পুনরায়। রোগীর ব্যবহৃত পোশাকাদি নিয়মিত গরম পানিতে ধুয়ে জীবানু মুক্ত করতে হবে। পরিষ্কার রাখতে হবে ঘর-বাড়িও। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে যেসব খাবার খেলে এলার্জি হয় সেসব খাবার। সাথে পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণে পানি। কারণ পানিশূন্যতা চর্ম রোগের অন্যতম কারণ।

আপনি যদি মনে করেন আপনি স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। যদিও স্ক্যাবিস প্রাণঘাতি রোগ নয় তবে এটি একটি সংক্রামক রোগ। তাই অন্যদের নিরাপদে রাখতে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই উচিত।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ