বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোটের সংলাপ: ৭ দফা ঐকমত্য ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: তিন দিনে ভারতীয় ১৬ ড্রোন ভূপাতিত জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় ২৭ মে মসজিদ-মাদরাসায় হামলা ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিফলন: খেলাফত মজলিস ভারতীয় মুসলিম নেতারা হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের আস্থা অর্জন করতে পারবেন কি? ‘আল্লামা সুলতান যওক নদভীর স্মৃতি নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করবে’ পাক-ভারত যুদ্ধ : ঈমানের লড়াই না ভূখণ্ডের দ্বন্দ্ব? ‘নারী কমিশন ইস্যুতে বিতর্ক জিইয়ে রাখা সরকারের উচিত হচ্ছে না’ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত – শান্তির শেষ সুযোগ কি ইসলামাবাদের হাতে? পাকিস্তানে নয়, মোদি নিজের ওপরই হামলাটা করলেন

অর্থাভাবে সামরিক অপারেশনে কাটছাঁট ইউক্রেনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান নামে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে দেশটিকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু সম্প্রতি সেই অর্থসহায়তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।

ফলে বর্তমানে সামরিক অপারেশনে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেকসান্দ্র তারনাভস্কি এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে জেনারেল তারনাভস্কি জানান, সামরিক বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে এবং শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান না হলে অদূর ভবিষ্যতে কিয়েভের সামনে ‘বিরাট বিপদ’ আসবে।
গত প্রায় দু’বছরের যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য অর্জন করতে না পারায় ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ও তার জেরে সহায়তার প্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেন যদিও বলেছে যে পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় শিগগিরই দেশটি নিজেদের গোলাবারুদ নিজেরাই উৎপাদন করবে; ইউক্রেনে কারখানা স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করেছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির প্রশাসন।

কিন্তু বাস্তব সত্য হল- ইউক্রেনের নিজস্ব গোলাবারুদের মজুত তলানিতে ঠেকেছে এবং বর্তমানে দেশটি পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহের ওপর প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল।

কিন্তু পশ্চিমা সরবরাহ যা আসছে, তাও ইউক্রেনের চাহিদার তুলনায় বেশ কম। রয়টার্সকে জেনারেল তারনাভস্কি বলেন, “বর্তমানে আমাদের কাছে গোলাবারুদের যে মজুত রয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। তাই আমরা সেগুলো বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে পুনর্বণ্টন করেছি এবং যতদূর সম্ভব রক্ষাণাত্মক সামরিক কৌশল অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি। অর্থাৎ খুব প্রয়োজন পড়লে যেন সেগুলো ব্যবহার করা হয়— এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইউনিটগুলোকে।” সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ