ভারতে এক স্কুলে মধ্যাহ্নভোজে মৃত সাপ পাওয়ার পর সেই খাবার খেয়ে শতাধিক শিশুর অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
এনএইচআরসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাঁধুনি মৃত সাপটি সরিয়ে ফেলার পরও সেই খাবার শিশুদের পরিবেশন করেন। গত সপ্তাহে বিহারের মোকামা শহরের একটি সরকারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।বিহার ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর একটি।
কমিশন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ও পুলিশকে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—স্কুলের মধ্যাহ্নভোজ খাওয়ার পর ‘শতাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে’।
ঘটনার পর শিশুদের পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মধ্যাহ্নভোজ খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিবাদকারী গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেন।
ভারতের সরকারি স্কুলগুলোতে লাখ লাখ শিশুকে বিনা মূল্যে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়, যাতে শিশুরা স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহ পায়—এমনটাই মনে করে কর্তৃপক্ষ।
কমিশন জানিয়েছে, তারা রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি ‘বিস্তারিত প্রতিবেদন’ চেয়েছে, যেখানে ‘শিশুদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদি প্রতিবেদনগুলো সত্য হয়, তবে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি গুরুতর বিষয়।
২০১৩ সালে বিহারের সারন জেলায় কীটনাশক মিশ্রিত খাবার খেয়ে ২৩ স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছিল।
ওই ঘটনার পর সরকার মধ্যাহ্নভোজ কর্মসূচিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়
এনএইচ/