রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় দ্রুত ‘ইলেকশন অ্যাপ’ উদ্বোধন রাশিয়া নিন্দা জানালো ইসরায়েলের গাজা দখল পরিকল্পনা সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ যোগাযোগ বন্ধ নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১ দোকান ও ১ কারখানা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কিনছে সরকার খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ ১৫ নভেম্বর নান্দাইলের চন্ডিপাশা ইউনিয়ন ইমাম-উলামা পরিষদের আত্মপ্রকাশ কুমিল্লায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও তারুণ্যের ভাবনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত পুনঃনিরীক্ষণে দাখিলে আরও ৯৯১ শিক্ষার্থী পাস এক মাসে হারামাইনে আগমন ঘটেছে ৬ কোটির বেশি মুসলিমের

গাজায় অনাহার-অপুষ্টিতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, মৃত্যুর মিছিল থামছে না


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ প্রাণহানির পর এই ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে, যার মধ্যে ৯৮ জনই শিশু।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ৩৮ জন নিহত এবং আরও ৪৯১ জন আহত হয়েছেন। এদিকে ইসরায়েল গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা অনুযায়ী ৭ অক্টোবরের মধ্যে শহরটি খালি করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের নতুন পরিকল্পনায় গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য পাঁচটি ‘মূলনীতি’ উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। প্রথম ধাপে গাজা সিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণাঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মহলসহ ইসরায়েলের ভেতরেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। কিছু সামরিক কর্মকর্তা এবং গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, সমালোচনায় তাদের সংকল্প দুর্বল হবে না।

যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে অপেক্ষাকৃত নরম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজা সম্পূর্ণ দখল করা হবে কি না, তা “প্রায় পুরোপুরি ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত”।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা সিটিতে সামরিক অবরোধ শুরু হবে। তার আগে দুই মাসের মধ্যে আনুমানিক ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যা গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। বর্তমানে শহরে যুদ্ধপূর্ব প্রায় ৬ লাখ বাসিন্দার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই তাঁবুতে বা ধ্বংসস্তূপে বসবাস করছেন।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই চরম মানবিক সংকটে থাকা মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষের “সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি” তৈরি হয়েছে।

এদিকে খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় খাদ্য নিতে গিয়ে ২১ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানায়, মে মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র চালুর পর থেকে খাদ্য সংগ্রহের পথে ১৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন জিএইচএফ কেন্দ্রের কাছে, এবং ৫১৪ জন খাদ্যবাহী বহরের পথে।

জাতিসংঘের দাবি, নিহতদের বেশিরভাগকে ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করেছে। তবে জিএইচএফ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সূত্র: বিবিসি, জাতিসংঘ, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ