বর্বর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা নগরী দখলের পাঁয়তারা করছে। মুসলিম দেশগুলোকে একজোট হয়ে তাদের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
শনিবার (৯ আগস্ট) মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান। খবর রয়টার্সের।
এর আগে, শুক্রবার আঞ্চলিক শক্তি মিসর ও তুরস্ক উভয়ই ইসরায়েলের গাজা নগরী দখলের ওই পরিকল্পনার নিন্দা জানায়।
আঙ্কারা বলেছে, এটি ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক ও সম্প্রসারণবাদী নীতির’ নতুন ধাপ এবং পরিকল্পনা ঠেকাতে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ইসরায়েল অবশ্য গাজায় তাদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এল আলামেইনে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তির সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ফিদান বলেন, ইসরায়েলি ওই পরিকল্পনা ইস্যুতে আলোচনা করার জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের অভুক্ত রেখে জমি থেকে উচ্ছেদ ও স্থায়ীভাবে গাজা দখল করাই ইসরায়েলের নীতি। ইসরায়েলকে সমর্থন করার মতো কোনও গ্রহণযোগ্য অজুহাত নেই।
যদিও গাজায় অনাহারের নীতি অনুসরণের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তি বলেন, গাজায় আজ যা ঘটছে, তা কেবল ফিলিস্তিনিদের কিংবা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য নয়। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এক পরিস্থিতি। ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, গাজা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে মিসরের পূর্ণ সমন্বয় রয়েছে এবং শনিবার ওআইসির মন্ত্রিপরিষদ কমিটি যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে ইসরায়েলের পরিকল্পনার নিন্দা জানানো হয়েছে।
ওআইসির মন্ত্রিপরিষদ কমিটি বলেছে, ইসরায়েলের পরিকল্পনা বিপজ্জনক ও অগ্রহণযোগ্য উসকানি, আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং অবৈধ দখলকে স্থায়ী করার চেষ্টা; যা শান্তির সব সুযোগ ধ্বংস করে দেবে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসানে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য গত কয়েক মাস ধরে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী দল কাজ করছে।
এসএকে/