সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

রাত পোহালেই লাব্বাইকে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় অবস্থান নিয়েছেন লাখ লাখ হাজি। তারা সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন আছেন। রাত পোহালেই তারা রওয়ানা করবেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানেই পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। 

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পবিত্র আরাফাতের ময়দানে জড়ো হবেন লাখ লাখ হাজি। সেখানে মসজিদে নামিরায় খুতবা দেবেন হজের ইমাম। এই ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এজন্য আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকেই হজের দিন বলা হয়। 

বৃহস্পতিবার ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফাত প্রান্তর। দুই খণ্ড সাদা কাপড় (পুরুষের ইহরাম) শরীরে জড়িয়ে একত্রিত হবে আরাফার ময়দানে। সবার মুখেই একই ধ্বনি ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’- ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির।’‘লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ‘হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই।’ ‘ইন্নাল হামদা ওয়াননিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ‘সব প্রশংসা ও নেয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো শরিক নেই’।

এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন। 

হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রোববার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পরপর এই ভাষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। হজের খুতবা একযোগে ৩৪টি ভাষায় অনূদিত হবে। 

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। 

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। 

সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ