গাজায় যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বাস্তুচ্যুতি ও বোমা হামলার আশঙ্কার মধ্যেও এক বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ফিলিস্তিনের তিন বোন। প্রায় একই সময়ে তারা সম্পন্ন করেছেন পবিত্র কোরআন হেফজ।
শনিবার (৯ আগস্ট) আলজাজিরা মুবাশিরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বড় বোন ড. নিদা আল-মিসরির (২২) সহায়তায় ছোট তিন বোন—হাল্লা (২০), আলমা (১৭) ও সামা (১৫)—এই সাফল্য অর্জন করেন। নিদা নিজে ২০২৩ সালে কোরআনের হাফেজ হন।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বসবাসকারী এই পরিবার যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে কয়েক দফা বাস্তুচ্যুত হয়। গত ডিসেম্বরে খান ইউনিস থেকে রাফায়, পরে আল-মাওয়াসি এলাকার তাঁবুতে স্থানান্তরিত হতে হয় তাদের। তবুও হেফজযাত্রা থামেনি।
তাদের বাবা কামিল মোহাম্মদ আল-মিসরি মেয়েদের কৃতিত্বে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আমি গোটা পৃথিবীর মালিক।” তিনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বড় মেয়ে নিদার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
হাল্লা জানান, তাঁবুর জীবন, অনাহার, তীব্র গরম ও গোলাবর্ষণ সবকিছুর মধ্যেও তারা একে অপরকে উৎসাহ দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করেছেন। সামা বলেন, যুদ্ধ তাদের সংকল্প ভাঙতে পারেনি। আলমা এই যাত্রাকে জীবনের সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, শীতের কনকনে ঠান্ডা আর গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমেও তারা হেফজ চালিয়ে গেছেন।
এখন এই পরিবারের বাড়িতে রয়েছেন চারজন কোরআনের হাফেজ, যা তাদের কাছে এক অবর্ণনীয় আনন্দের বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এমএইচ/