জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে একমত সব রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জরুরি অবস্থা যেন ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে একমত হয়েছে সবাই।’
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১০ দিনের দীর্ঘ আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে সবাই একমত হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জাতীয় সংসদে বিতর্কের মাধ্যমে হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একমত হয়েছি যে জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার না হয়, কারণ অতীতে এর অপব্যবহার হয়েছে। কিন্তু আমাদের মত হলো—এটা নিয়ে জাতীয় সংসদে বিস্তারিত ডিবেট হওয়া উচিত। কারণ এর সঙ্গে জড়িত কিছু বিস্তারিত আইন প্রণয়নের বিষয় রয়েছে। সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হতে পারে। সেগুলো সেখানেই বিবেচনা করা উচিত।’
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির যে বিধান রয়েছে, তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতের ক্ষমতাও একরকম স্থবির করে দেয়।
এ কারণে সংবিধানের ১৪১ (ক), (খ), (গ) অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি করা যাবে না। সেই সময়ও সংবিধান-নিশ্চিত নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার খর্ব করা যাবে না।
এমএইচ/