সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাওলানা গোলাম মুহাম্মদ বুস্তানবী রহ. যেন একটি প্রতিষ্ঠান শাপলা গণহত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে হাইআতুল উলয়ার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে মোগল সম্রাটের ‘বংশধরের’ দাবি খারিজ ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সেনানীদের ভীত-সন্ত্রস্ত করার হীন অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে’ শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ ৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’

সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের করা মামলা খারিজ (বাতিল) করে দিয়েছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। এতে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন মুফতী ফয়জুল করীম ও তাঁর দল ইসলামী আন্দোলন। তার উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। 

গত ১৭ এপ্রিল মামলার পর ওইদিন এবং ২৪ এপ্রিল শুনানি হয়। আজ সোমবার নির্ধারিত দিনে অধিকতর শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান। বিচারক উল্লেখ করেন, নির্বাচনী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইবুনালে মামলা করতে হয়। মুফতি ফয়জুল করীম মামলা করেছেন ৪৪৫ দিন পর। 

তবে মুফতি ফয়জুল করীমের আইনজীবী নাসের বলেন, আমরা তামাদি আইনে মামলাটি করেছিলাম। বরিশাল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

এদিকে ইসলামী আন্দোলনের মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদের আমলে বরিশাল সিটি নির্বাচনে জালিয়াতিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাইকে মেয়র ঘোষণার জন্য করা মামলা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে তামাদি আইনে মামলা খারিজ করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের নির্মমতার শিকার মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই নির্বাচনের দিন যে মাত্রার নৃশংসতার শিকার হয়েছেন এবং তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে ভাষায় কথা বলেছিলেন তাতে তৎকালীন চরম বৈরী পরিবেশে মামলা করার মতো সুযোগ ছিল না। এই সাধারণবোধ থেকে আদালত মামলা গ্রহণ করবেন বলে জাতি আশা করেছিল। কিন্তু আজকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল পরিস্থিতি অনুধাবন না করে মামলা খারিজ করে দিয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এখন আইনি উপায়ে নির্বাচনী আপিল আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ফ্যাসিবাদের পাপ মোচনের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ