শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৯ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আগাম হুমকির পরেও নিরাপত্তা নিয়ে বেখেয়ালী ছিল ঢাবি প্রশাসন সোহরাওয়ার্দী ময়দানে ‘মার্চ ফর গাজা’: খাবার বিতরণ করবে তাকওয়া ফাউন্ডেশন  নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা ‘মার্চ ফর গাজা’ সফল করতে আসছে স্রোতের মত মিছিল, জনতার ঢল সোহরাওয়ার্দীতে অন্তালিয়ায় আরব-ইসলামিক মন্ত্রীপরিষদের সম্মেলন: গাজা ও পশ্চিম তীরকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান, যুদ্ধবিরতির জোর দাব গ্রীষ্মে কোন সময়ে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? গলাচিপায় ভয়াবহ আগুন : ১০ দোকান পুড়ে ছাই ‘মার্চ ফর গাজা’য় সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আসার আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ  ১০ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর দায়িত্ব নিতে চায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান

ভিয়েতনামে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির কবলে, প্রাণহানি বেড়ে ১৭৯

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়সহ ভিয়েতনামের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন। এছাড়া প্রবল বর্ষণে রেড রিভার নদীর পানি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যায় ডুবে গেছে হ্যানয়ের অধিকাংশ এলাকা।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি দক্ষিণ চীন সাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত হয়ে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে। ভিয়েতনামে আসার আগে ফিলিপাইনের লুজন প্রদেশ এবং চীনের কোটু দ্বীপেও তাণ্ডব চালিয়েছে ইয়াগি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তাদের জরিপে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এশিয়াতে যত ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ইয়াগি।

শনিবার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানার পর রাজধানী হ্যানয়ের দিকে এগোতে শুরু করে ইয়াগি। যেসব এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যায়, সেসব এলাকায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে জানিয়েছেন ভিয়েতনামের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সোমবার থেকে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারাতে শুরু করে। তবে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকে। ব্যাপক বর্ষণের জেরে হ্যানয়ের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া রেড রিভারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পানি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক মাই ভ্যান কিয়েম বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রেড রিভার নদীর পানি গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া অন্যান্য নদীতে পানি বেড়েছে বিপুল পরিমাণে।

নদীতে পানির প্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বন্যা এবং ভূমিধস শুরু হয়েছে রাজধানী হ্যানয়সহ বিভিন্ন প্রদেশে। দুর্যোগ মোকাবিলায় কর্মীদের তৎপরাতাই ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নিয়মিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল ও সরকারি ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন লোকজন। বন্যার কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

হ্যানয়ের বাসিন্দা এনগুয়েন ডাক ত্যাম (৪০) একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তার বাড়ি রেড রিভার নদীর কাছাকাছি তার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকতেন তিনি। রয়টার্সকে তিনি বলেন, “আমি দোতলায় থাকতাম। বন্যার পানি তিন তলা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আমার বাসা পুরোপুরি পানির নিচে। সঙ্গে করে কিছুই আনতে পারি নি।”

আরেক ভুক্তভোগী এনগুয়েন ভ্যান হাং জানান, তার বাড়ি ছিল রেড রিভার নদীর তীরে এবং বন্যা ও ভূমিধসের কারণে তার বাড়ির আর কোনো চিহ্ন এখন আর নেই।

“আমার বাড়ি এখন নদীর অংশ,” রয়টার্সকে বলেন হাং।

সূত্র : রয়টার্স

এমএন/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ