বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানির মাধ্যমে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখেন মুসলিম উম্মাহ। বাংলাদেশসহ একাধিক দেশে আজ শনিবার (৭ জুন) পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।
খালিজ টাইমস-এর বরাতে জানা গেছে, চাঁদ দেখার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশে ঈদুল আজহার দিন ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নির্ধারিত হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইতে ২৮ মে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ২৯ মে থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়। সেই হিসেবে এই দেশগুলোতে ৭ জুন ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
মালয়েশিয়া: দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ২৯ মে জিলহজ মাস শুরু হয়েছে এবং ৭ জুন পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।
ব্রুনাই: দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় একই দিন থেকে জিলহজ শুরু হওয়ার ঘোষণা দেয় এবং ৭ জুন ঈদ উদযাপনের কথা নিশ্চিত করে।
পাকিস্তান: রুয়েত-ই-হিলাল কমিটি জানায়, চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ২৯ মে থেকে জিলহজ গণনা শুরু হয়। ঈদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ জুন।
ভারত: মারকাজি চাঁদ কমিটি ২৯ মে চাঁদ না দেখার কথা জানিয়ে ৭ জুন ঈদের দিন নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশ: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২৯ মে থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে এবং আজ ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে ত্যাগ ও আনুগত্য। এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগের মহান আদর্শ। মুসলিমরা ঈদের নামাজ আদায়, কোরবানি, দান ও সামাজিক বন্ধন জোরদারের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করে থাকেন।
এই দিন মুসলিম বিশ্বে হাজারো পশু কোরবানি করা হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় এবং তা বিতরণ করা হয় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও দরিদ্র মানুষের মাঝে। ধর্মীয় অনুশাসনের পাশাপাশি এই উৎসব বিশ্ব মুসলিমের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার বার্তা পৌঁছে দেয়।
এসএকে/