ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েল যদি তাদের আক্রমণ বন্ধ করে, তবে তেহরানও আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে চালানো প্রতিক্রিয়ামূলক হামলা বন্ধ করবে। তিনি আজ তেহরানে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই বক্তব্য দেন।
আরাঘচি বলেন, “আমরা আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছি। ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে, তবে আমরা উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করব।” তার এই বক্তব্য ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে।
ইরানি গণমাধ্যমের দাবি, গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শিশু রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের পাল্টা আক্রমণে ১০ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়, শনিবার রাতে ইরান প্রায় ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হাইফার তেল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে। এই হামলায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও অংশ নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরাঘচি আরও বলেন, "জায়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইনের একটি নতুন সীমা লঙ্ঘন করেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালিয়েছে।"
ইসরায়েল বর্তমানে ইরানের ইসফাহান প্রদেশের একটি প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং শিরাজের একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানার ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের সাধারণ জনগণকে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর আশপাশ থেকে সরে যেতে বলেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, "ইসরায়েলের হামলার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কোনো আক্রমণ চালায়, তবে তার ফল হবে ভয়াবহ।"
পরিস্থিতি বিবেচনায়, দুই দেশই আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলেও প্রভাব পড়ছে।
এমএইচ/