ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন উম্মে হাবিবা রজনী (৩৭)। স্কুলে পড়ুয়া মেয়েকে আনতে গিয়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি বরণ করতে হবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।
রজনী ছিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আবদুল হামিদের মেয়ে এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জোহরুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামীর কর্মসূত্রে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করতেন তিনি। তাদের একমাত্র কন্যা ঝুমঝুম খাতুন (১২) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে প্রতিদিনের মতো স্কুল শেষে মেয়েকে আনতে গিয়েছিলেন রজনী। এ সময় হঠাৎ করেই বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান সেখানে বিধ্বস্ত হয়। আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন রজনী। পরে তাকে সিএমএইচ বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মঙ্গলবার ভোরে রজনীর মরদেহ পৌঁছায় মেহেরপুরের বাওট গ্রামে পিত্রালয়ে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া। মা, ভাইবোন ও স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে গ্রামের পরিবেশ। পরে মরদেহ নেওয়া হয় তার স্বামীর বাড়ি কুষ্টিয়ার সাজিপুর গ্রামে। সেখানেই সম্পন্ন হবে তাঁর দাফন।
দুর্ঘটনায় আহত রজনীর মেয়ে ঝুমঝুমও আগুনে আঘাত পায়। তবে ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে সে পরিবারের সঙ্গে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা।
একটি স্কুলযাত্রা কীভাবে একটি পরিবারের জীবনে স্থায়ী শোকের ছাপ রেখে গেল—উত্তরার সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা তারই নীরব সাক্ষ্য হয়ে রইল।
এনএইচ/